ফাইল চিত্র।
চলতি অর্থবর্ষেই শিপিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ায় নিজেদের ৬৩.৭৫% অংশীদারি বিক্রি করতে চায় কেন্দ্র। মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ হাতবদল করতে চায় বেসরকারি সংস্থাকে। সরকারি সূত্রের খবর, এর জন্য আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আর্থিক দরপত্র চাইতে পারে তারা। তার আগে সংস্থার মূল ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত নয়, এমন সমস্ত সম্পদকে অন্য একটি সংস্থায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, ‘‘সংস্থাকে আলাদা করার এই প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। আর্থিক দরপত্রের জন্য তৈরি হতে আমাদের তিন-চার মাস সময় লাগবে।’’
অতিমারি এবং বাজারের অস্থির পরিস্থিতির ফলে গত দু’টি অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্র। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা অনেকটা কমিয়ে ৬৫,০০০ কোটি টাকায় বেঁধেছে তারা। ইতিমধ্যেই ওএনজিসির কিছু শেয়ার বিক্রি করে ৩০০০ কোটি টাকা তুলেছে সরকার। ২১,০০০ কোটি টাকা আসতে চলেছে বাজারে জীবন বিমা নিগমের (এলআইসি) প্রথম শেয়ার (আইপিও) ছেড়ে। পবন হংসে নিজেদের সমস্ত অংশীদারি বিক্রি করে আসবে ২১১.১৪ কোটি। এর পরে শিপিং কর্পোরেশন এবং তার নিয়ন্ত্রণের হাতবদল ঘটিয়ে উল্লেখযোগ্য অঙ্ক রাজকোষে আনার আশা করছে কেন্দ্র। ফলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, এ বছর বিলগ্নিকরণ ও বেসরকারিকরণের বেশ কিছু নিশ্চিত তাস হাতে থাকার ফলে ওই লক্ষ্যপূরণে হয়তো বিশেষ সমস্যা হবে না।
প্রাথমিক লক্ষ্য অনুযায়ী, শিপিং কর্পোরেশনের বেসরকারিকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল গত অর্থবর্ষেই। কিন্তু বাজারের পরিস্থিতির জন্যই তা হয়নি। ২০২০ সালের নভেম্বরে বিষয়টি নিয়ে নীতিগত সম্মতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। পরের মাসে চাওয়া হয়েছিল আগ্রহপত্র। তাতে কয়েকটি সংস্থা সাড়াও দিয়েছে। গত বছরের অগস্টে মূল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নয় এমন সমস্ত সম্পদকে আলাদা করার জন্য শিপিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া ল্যান্ড অ্যান্ড অ্যাসেটস নামে একটি সংস্থা তৈরি করে সংস্থার পর্ষদ। গত সপ্তাহে পর্ষদের বৈঠকে প্রকল্পের রূপরেখা চূড়ান্ত হয়েছে। সেই অনুযায়ী, মুম্বইয়ের শিপিং হাউস, পওইয়ের মেরিটাইম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটকে আলাদা করা হবে। গত মার্চের হিসাবের খাতার নিরিখে এই সমস্ত সম্পদের মূল্যায়ন ২৩৯২ কোটি টাকা।