অর্থবর্ষ থেকে করের হার আরও কমানো-সহ কিছু সুযোগ-সুবিধা জুড়ে সেই বিকল্পকেই প্রধান কর ব্যবস্থা হিসেবে চালু করেছে সরকার। প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় আয়কর দফতর বুধবার জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে নিয়োগকারী সংস্থাকেই জেনে নিতে হবে কর্মীরা আয়কর দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরনো না নতুন, কোন ব্যবস্থায় থাকতে চান। সেই মতো তাঁদের বেতন থেকে উৎসে কর কেটে (টিডিএস) আয়কর দফতরে জমা দেবে সংস্থা।
২০২০-র ১ এপ্রিল থেকে পুরনো আয়কর ব্যবস্থার পাশাপাশি নতুন বিকল্প কর কাঠামো চালু করে কেন্দ্র। তাতে করের হার কম। কিন্তু কর ছাড়ের সুযোগ কার্যত ছিল না। তেমন জনপ্রিয় হয়নি ব্যবস্থাটি। চলতি অর্থবর্ষ থেকে করের হার আরও কমানো-সহ কিছু সুযোগ-সুবিধা জুড়ে সেই বিকল্পকেই প্রধান কর ব্যবস্থা হিসেবে চালু করেছে সরকার। এ দিন নির্দেশ জারি করে কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ (সিবিডিটি) বলেছে, সংস্থাকেই কর্মীর পছন্দ বিশদে জেনে নিতে হবে। কেউ যদি পছন্দ না জানান, তা হলে ধরে নেওয়া হবে তিনি নতুন কর কাঠামোয় নাম লেখাতে ইচ্ছুক। সেই অনুযায়ী তাঁর বেতন থেকে উৎসে কর কাটা হবে।
সিবিডিটি বলেছে, ‘‘প্রত্যেক বছর নিয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিটি কর্মীর থেকে পছন্দের কর কাঠামো সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। কর্মীকেও পছন্দের কথা স্পষ্ট করে জানাতে হবে। তার পর সংস্থা সেই অনুযায়ী আয় থেকে টিডিএস কাটবে।’’
তবে কর বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, সংস্থাকে জানানোর পরেও কর্মী চাইলে আয়কর রিটার্ন জমার সময়ে তা বদলে অন্য ব্যবস্থায় যেতে পারবেন। প্রসঙ্গত, পুরনো কর ব্যবস্থায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে রিবেট দিয়ে কর বসে না। নতুন কাঠামোয় সেই অঙ্ক ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। সঙ্গে মিলবে পুরনো ব্যবস্থার মতো ৫০,০০০ টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনে ছাড় এবং হাতে গোনা কিছু ক্ষেত্রে করে ছাড়।