—ফাইল চিত্র।
খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে দ্রুত রাশ টেনে আমজনতার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিল কেন্দ্র। জানাল, সে জন্য দামে আরও কড়া নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ৩৮টি সব থেকে জরুরি এবং অত্যাবশ্যক খাবারের প্রতি দিনের দরে থাকবে চোখ। সেই অনুযায়ী তৈরি হবে তা নিয়ন্ত্রণের নীতি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, মূল্যবৃদ্ধির কাঁটা লোকসভা ভোটে বিজেপির নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা কেড়ে নেওয়ার পরে ঝুঁকি নিতে চায় না মোদী সরকার। বরং কিছু রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা ভোটে ধাক্কার পুনরাবৃত্তি এড়াতে তৎপর তারা। বিশেষত আনাজ, চাল, ডালের মতো বহু খাদ্যপণ্যে যেহেতু ফের হাত ছোঁয়ানো কঠিন হয়েছে। এই কারণে রাজ্যগুলিকে কম দামে চাল বিক্রি এবং কিছু জায়গায় কম দামে টোম্যাটো বিক্রির সিদ্ধান্তও নিয়েছে কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার খাদ্য, ভোগ্যপণ্য এবং গণবণ্টন মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী জানান, চালের অভাব থাকলে খাদ্য নিগমের থেকে যে কোনও রাজ্য কুইন্টাল প্রতি ২৮০০ টাকায় তা কিনতে পারবে। এ জন্য বৈদ্যুতিন নিলামে অংশ নিতে হবে না। মন্ত্রীর অবশ্য দাবি, খাদ্যশস্য কেনার নতুন মরসুম চালুর আগে মজুত কমানোই এর উদ্দেশ্য। ‘ভারত’ ব্র্যান্ডে সস্তার আটা, চাল বিক্রিও বহাল রাখছে কেন্দ্র। গত ৩০ জুন তা বন্ধ হওয়ার কথা ছিল। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় পাঁচ বছর নিখরচায় ৮১.৩৫ কোটি মানুষকে খাদ্যশস্য দিতে খরচ করবে ১১.৮০ লক্ষ কোটি টাকা।
যোশী বলেন, নির্দিষ্ট কিছু অত্যাবশ্যক খাদ্যপণ্যের দাম কমাতে দৈনিক ভিত্তিতে তাদের খুচরো এবং পাইকারি দামের উপর কড়া নজর রাখা হবে। আগে ওই তালিকায় ছিল ২২টি খাবার। এ দিন যোগ হয়েছে আরও ১৬টি। তিনি জানান, নজরদারির ভিত্তিতেই খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ সংক্রাম্ত নীতি তৈরি করবে সরকার। আগের দফার ২২টির দৈনিক খুচরো এবং পাইকারি দাম পর্যবেক্ষণের কর্মসূচি ৩৪টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হয়েওছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে বিশেষত আনাজের দামে রাশ টানতে রাজ্য সরকার আগেই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে দাবি রাজ্যে দাম সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সদস্য এবং পশ্চিমবঙ্গ ফোরাম অব ট্রেডার্স অর্গানাইজ়েশনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলের। তিনি বলেন, দাম এখানে কিছুটা মাথা নামিয়েছে।