—প্রতীকী চিত্র।
বিশেষ আর্থিক অঞ্চল (এসইজ়েড) থেকে অন্যত্র পণ্য সরবরাহের পথ সহজ করতে সংস্কারের কাজ করছে কেন্দ্র। শনিবার কলকাতায় ভারত চেম্বারের এক অনুষ্ঠানে সেই কাজ কবে হবে, তা নিয়ে শিল্প মহলের প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য সচিব সুনীল বার্থওয়াল বলেন, রফতানির বাজারে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে কথা মাথায় রেখেই শীঘ্রই এসইজ়েড-এ সংস্কারের কাজ চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, লোহিত সাগরে ইয়ামেনের হুথি জঙ্গি গোষ্ঠীর আক্রমণের প্রভাব দেশের বাণিজ্যে কতটা পড়ছে, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বেশ কয়েক বছর আগেই বিশেষ আর্থিক অঞ্চল নীতি খতিয়ে দেখার কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। এ দিন বার্থওয়াল জানান, অতিমারির মধ্যে এসইজ়েড-এ অফিসে কাজের বদলে বাড়ি থেকে কাজের প্রচলন বেড়েছে। ফলে বহু অফিস বাড়িই খালি পড়ে রয়েছে। যার জেরে বিশেষ আর্থিক অঞ্চলের সঙ্গে তার বাইরের দেশের অন্যত্র (ডোমেস্টিক ট্রাফিক এরিয়া বা ডিটিএ) পার্থক্যও কমে এসেছে। পাশাপাশি, দেশের অর্থনীতির মাপও এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফলে প্রতিযোগিতার বাজারে এগোতে এসইজ়েড-এ সংস্কারের কথা ভাবা হচ্ছে।
পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ ভারতের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য চুক্তিতে আগ্রহী জানিয়ে সচিব বলেন, আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের জোগান শৃঙ্খলের অংশ হয়ে উঠতে এর সুবিধা নিতে হবে রফতানিকারীদের। সেই ভেবেই এই নীতি তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে ২ লক্ষ কোটি ডলারের রফতানির লক্ষ্যও ছোঁয়া সম্ভব বলে দাবি করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, এর মধ্যে অর্ধেক আসবে পণ্য রফতানি থেকে, বাকিটা পরিষেবা ক্ষেত্র থেকে।
তবে সাম্প্রতিককালে লোহিত সাগরে হুথি জঙ্গিদের হানায় সুয়েজ প্রণালী দিয়ে পণ্য পরিবহণ প্রায় ৪৫% কমেছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে বলে এ দিন সভার ফাঁকে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বার্থওয়াল। তিনি বলেন, বর্তমানে উত্তমাশা অন্তরীপ দিয়ে পণ্য চলাচল করছে। কিন্তু তাতে পরিবহণ খরচ বেড়েছে। এই ঘটনা সামগ্রিক ভাবে রফতানিতে প্রভাব ফেলছে কি না, সেটাই এখন খচিয়ে দেখা হচ্ছে।