—প্রতীকী ছবি।
খরিফ ফসল ভরতে প্রয়োজনীয় চটের বস্তার একাংশের বরাত চটকলগুলিকে আগাম দিল কেন্দ্র। শীঘ্রই ৬.২৪ লক্ষ বেল বস্তার (প্রতি বেল=৫০০ বস্তা) বরাত হাতে পাবে তারা। যা আগামী জুন-জুলাইয়ে পাওয়ার কথা ছিল। সরকারি মহলের দাবি, পাট চাষি এবং চট শিল্পের পাশে দাঁড়াতেই এই সিদ্ধান্ত।
আইন অনুযায়ী, এখন চটের বস্তায় খাদ্যশস্য পাঠানো বাধ্যতামূলক। রবি এবং খরিফ মরসুমে যে খাদ্যশস্য বিভিন্ন রাজ্য কেনে, তার জন্য কত বস্তা লাগবে তা কেন্দ্রকে জানায় তারা। সেই মতো চটকলগুলিকে বরাত দেয় কেন্দ্র। কিন্তু গত রবি মরসুমে তারা বরাতের থেকে ৮ লক্ষেরও বেশি বেল বস্তা কম কিনেছিল। ফলে চটকলগুলি সমস্যায় পড়ে। কিছু বন্ধও করতে হয়। চটকল মালিকদের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৫০,০০০ কর্মী কাজ হারিয়ে বসে যান। অন্য দিকে, কাঁচা পাটের চাহিদা কমায় লোকসানের মুখে পড়েন পাট চাষিরা। এই পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়ানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানায় চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ।
রাজ্যগুলির অনুমান, এ বার খরিফ মরসুমের খাদ্যশস্য ভরতে তাদের ২৩.৫ লক্ষ বেল বস্তা লাগবে। তার ৬.২৪ লক্ষ বেল বরাতই দেওয়া হল আগাম। সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন আইজেএমের চেয়ারম্যান রাঘবেন্দ্র গুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘আশা করব আগাম হিসাব অনুযায়ীই বস্তা কিনবে কেন্দ্র। আগের বছরের মতো কম কিনবে না। কারণ, আগাম হিসাবের ভিত্তিতে আমরা বস্তা তৈরির জন্য প্রস্তুত হই। না হলে ঠিক সময় বরাত জোগাতে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু আচমকা বরাত কাটছাঁট করলে লোকসান গুনতে হয় চটকলগুলিকে।’’ সূত্রের খবর, সেটা হলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে পশ্চিমবঙ্গ। কারণ, দেশের ৭২-৭৫ শতাংশ চটকলই এই রাজ্যে।