Jute Bags

চটের বস্তার দামের নীতি

এখনকার নিয়ম অনুযায়ী, খাদ্যশস্য রাখার জন্য ১০০% চটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। চিনির ক্ষেত্রে তা ন্যূনতম ২০%। বছরের শুরুতে চটকলগুলিকে বস্তার বরাত দেয় সরকারি দফতরগুলি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৪ ০৮:১৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

মাসুল কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে চটের বস্তার নতুন দামের নীতিতে সম্মতি দিল কেন্দ্র। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে বস্ত্র মন্ত্রক জানিয়েছে, নতুন নীতির ফলে চটকলগুলির বস্তার ন্যায্য দাম পাওয়া নিশ্চিত হবে। উপকৃত হবে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা-সহ পাট উৎপাদনকারী রাজ্যগুলি। চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

Advertisement

এখনকার নিয়ম অনুযায়ী, খাদ্যশস্য রাখার জন্য ১০০% চটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। চিনির ক্ষেত্রে তা ন্যূনতম ২০%। বছরের শুরুতে চটকলগুলিকে বস্তার বরাত দেয় সরকারি দফতরগুলি। কিন্তু চটকলগুলির অভিযোগ ছিল, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও কেন্দ্র যথেষ্ট বরাত দিচ্ছিল না তাদের। তবে এ দিন কেন্দ্রের দাবি, খাদ্যশস্য এবং চিনিতে আগের নিয়ম সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ১২,০০০ কোটি টাকার বস্তার বরাত দেবে তারা। নিশ্চিত হবে ৪০ লক্ষ পাটচাষি এবং চার লক্ষ চটকল শ্রমিকের আয়ও। ভাল দাম পাওয়ায় নতুন লগ্নিও আসবে এই ক্ষেত্রে।

শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ ছিল, চটকলগুলি ঠিক মতো বস্তার বরাত না পাওয়ায় শ্রমিকেরাও নিয়মিত ‘শিফট’ পাচ্ছিলেন না। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে খাদ্যশস্য এবং চিনি মজুতের বাজারে ঢুকতে চেষ্টা করছিলেন নাইলনের বস্তা উৎপাদনকারীরা। ফলে চট শিল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement