প্রতীকী ছবি
এখন অন্যের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে কেনাকাটাই লক্ষ্য। ফলে আরও বাড়ছে নেটে জিনিস কেনার ঝোঁক। তা হলে গাড়িই বা বাদ থাকে কেন! পুরোটা না-হলেও, শো-রুমের বদলে অনলাইনেই গাড়ি পছন্দ করে তা কেনার প্রায় গোটা পর্ব সেরে ফেলার ব্যবস্থা বাড়ছে গাড়ি শিল্পেও। কোনও সংস্থার ক্ষেত্রে পছন্দের গাড়ির বুকিং পর্যন্ত শোরুমে পা রাখার দরকারই নেই। কারও ক্ষেত্রে ক্রেতা রাজি থাকলে আরও অনেকটাই এগোনো যাবে অনলাইনে। গাড়ি শিল্পের মতে, ক্রেতাও এ নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
নেটে গাড়ি পছন্দ বা বুকিংয়ের সুবিধা আগে কিছু সংস্থা চালু করলেও, করোনা-সঙ্কট সেই তাগিদ বাড়িয়েছে। লকডাউনের মধ্যেই একাংশ অনলাইনে গাড়ি কেনার ব্যবস্থার সুবিধা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিল। লকডাউন উঠলে সম্ভাব্য ক্রেতাদের অনেকেরই শো-রুমে আসা নিয়ে সংশয় থাকায়, অন্যরাও একই পথে হাঁটছে। হুন্ডাই, মারুতি-সুজুকি, মহীন্দ্রা, হোন্ডা, টাটা মোটরস, ফোক্সভাগেন, মার্সিডিজ় বেঞ্জ, নিসান, রেনো, অডি, হিরো মোটো, সুজুকি মোটরের মতো সংস্থা জোর দিচ্ছে এতে। কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে বুকিংয়ের পরে নথিপত্রও নেটে পাঠানো যায় ডিলারকে।
টেস্ট ড্রাইভ বা সব প্রক্রিয়া শেষ হলে গাড়ি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন কোনও কোনও ডিলার। হোন্ডার মুখপাত্র জানান, বড় শহরের পাশাপাশি ছোট শহরেও এ ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। ডিলারদের সংগঠন ফাডার পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ ভাণ্ডারি জানান, এখন রাজ্যে মোট বুকিংয়ের প্রায় ১২% অনলাইনে হয়। করোনার পরে তা আরও বাড়বে। অনলাইন ব্যবস্থা বাড়লে ক্রেতাদের ঝক্কি আরও কমবে। কর্মীদেরও এ জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
ফাডা-র এর এক সদস্য বিনায়ক নায়ার বলেন, ‘‘এই ব্যবস্থায় ক্রেতা অনেক দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ফলে আগামী দিনে গাড়ি বিক্রি বৃদ্ধির পক্ষেও তা সাহায্য করবে।’’