অমিত মিত্র। —ফাইল চিত্র।
আগামী নভেম্বরে রাজ্যে বসছে সপ্তম বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনের (বিজিবিএস) আসর। তারই প্রস্তুতি পর্বে মুম্বইয়ে বণিকসভা ফিকির আয়োজিত সভায় বস্ত্র এবং গয়না শিল্পকে পশ্চিমবঙ্গে লগ্নির বার্তা দিলেন অমিত মিত্র। রাজ্যের এই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এবং বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা বলেন, বাংলায় এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে লগ্নির সুযোগ বিপুল। শিল্প পার্কে সুলভে জমি পাওয়া এবং গয়না শিল্পগুচ্ছের কথাও তুলে
ধরেন তিনি।
বিজিবিএসের প্রচারে এর আগে দিল্লিতে বণিক মহলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অমিত। সোমবার বাণিজ্য-নগরীতে রাজ্যে বস্ত্র শিল্পের সম্ভাবনার কথা বলেন। জানান, এখানে সংস্থার নিজের জমিতে ৩৫টি প্রস্তাবিত শিল্প পার্কের মধ্যে ১৫টিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নীতিগত সায় পেয়েছে আরও ২০টি। সব মিলিয়ে পার্কগুলিতে আছে ১৫০২.৫৪ একর। আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা দেবে রাজ্য। লগ্নি হতে পারে ৮৬২০ কোটি টাকা। তৈরি হতে পারে ১.২ লক্ষেরও বেশি কাজ। মেটিয়াবুরুজে বস্ত্র তালুক এবং হাওড়ায় ভারতের বৃহত্তম হোসিয়ারি পার্কের সম্ভাবনার উল্লেখ করেন তিনি। দাবি করেন, মহেশতলার বস্ত্র হাব রাজ্যে এই শিল্পের ছবি বদলাবে। বস্ত্র শিল্পের সংগঠন এবং সংস্থাগুলিকে বলেন, আরও চারটি বস্ত্র পার্ক গড়ে উঠছে কলকাতাকে ঘিরে। পোশাক শিল্পের বিপুল কাজ হতে পারে।
বৈঠকে গয়না শিল্পের বিভিন্ন সংগঠন এবং সংস্থার জন্য অমিতের বার্তা, গয়না শিল্পে ১ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য স্থির করছে রাজ্য। বর্তমানে যা ৬৫,০০০ কোটি। রফতানি হয় ৯০০০ কোটি টাকার পণ্য। তাঁর দাবি, পশ্চিম মেদিনীপুরে স্বর্ণ হাব তৈরি হচ্ছে। অঙ্কুরহাটিতে এর মধ্যেই টাইটান, মালাবারের মতো সংস্থা গয়না তৈরির কেন্দ্র গড়েছে। এটাই সুবর্ণ সুযোগ রাজ্যে পা রাখার।