চিনা যন্ত্রাংশের তথ্য নেই টেলিকমে

চিনা সংস্থার যন্ত্রাংশ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পরোক্ষে আপত্তি তুলে টেলি শিল্পের দাবি ছিল, কোন যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হবে তা নির্ভর করে প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক বিষয়ের উপর। বস্তুত, সেই তথ্য কেন্দ্রের কাছে না-থাকার জন্য সেই যুক্তিই দিয়েছেন ধোত্রে। তিনি বলেন, ‘‘টেলি সংস্থাগুলি প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যন্ত্রাংশ কেনে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:৩৮
Share:

প্রতীকী চিত্র

সীমান্ত উত্তেজনায় রাষ্ট্রায়ত্ত টেলি সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএলকে পড়শি দেশের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে কেন্দ্র। যার জেরে সাময়িক ভাবে কার্যত থমকে গিয়েছে বিএসএনএলের ৪জি পরিষেবা। তবে টেলিকম শিল্পে চিনা যন্ত্রাংশের অংশীদারি কত, তার তথ্য সরকার আলাদা করে রাখে না বলে জানালেন যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় ধোত্রে। যদিও বৃহস্পতিবার সংসদে তিনি বলেন, সংস্থার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিএসএনএলে দুই চিনা সংস্থা জ়েডটিই ও হুয়েইয়ের যন্ত্রাংশের অংশীদারি যথাক্রমে ৪৪% ও ৯%।

Advertisement

চিনা সংস্থার যন্ত্রাংশ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পরোক্ষে আপত্তি তুলে টেলি শিল্পের দাবি ছিল, কোন যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হবে তা নির্ভর করে প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক বিষয়ের উপর। বস্তুত, সেই তথ্য কেন্দ্রের কাছে না-থাকার জন্য সেই যুক্তিই দিয়েছেন ধোত্রে। তিনি বলেন, ‘‘টেলি সংস্থাগুলি প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যন্ত্রাংশ কেনে। লাইসেন্সের সুরক্ষা-শর্ত মেনেই তা কিনতে হয়। তাই টেলিকম দফতর আলাদা করে এমন তথ্য রাখে না।’’তবে এমটিএনএল-ও প্রায় ১০% চিনা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, রিলায়্যান্স-জিয়ো চিনা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে না। ভোডাফোন আইডিয়া বহু সংস্থার কাছ থেকে যন্ত্রাংশ নিলেও বরাবরই ডটের সব সুরক্ষা বিধি মেনেছে। এয়ারটেলও পরিকাঠামো গড়তে আমেরিকা, ইউরোপ, চিনা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ধোত্রে জানান, ২০১৯-২০ সালে মোট আমদানি হওয়া বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশের মধ্যে ৩৭% ছিল চিন থেকে আসা। স্মার্টফোনের যন্ত্রাংশের মধ্যে ৪৫% ছিল চিনের। করোনার মতো আপৎকালীন সমস্যায় যাতে যন্ত্রাংশ আমদানি ব্যাহত না হয়, সে জন্য একটি দেশ বা একই অঞ্চলের উপর নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement