—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ডুয়ার্স-তরাইয়ের চা শ্রমিকদের বোনাসের হার স্থির করার বৈঠকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত গড়িয়ে গেল। তবে গভীর রাত পর্যন্তও বোনাসের হার নিশ্চিত হল না। সূত্রের দাবি, কলকাতায় বেঙ্গল চেম্বার অব কর্মাসের দফতরে বৈঠকে মালিক পক্ষের তরফে ১০%-১৪% হারে বোনাস দেওয়া হবে জানানো হয়। শ্রমিক সংগঠনগুলি ২০% অথবা তার বেশি বোনাসের দাবিতে অনড়।
এ দিন ছিল ডুয়ার্স-তরাইয়ের চা বাগানের শ্রমিকদের বোনাস বৈঠকের পঞ্চম দিন। প্রথমে ‘ভার্চুয়াল বৈঠক’ হয়। তার পরে কলকাতায় পর পর তিনটি বৈঠক হয়েছে। এ দিন বেলা ১১টা থেকে বৈঠক শুরু হয়।
চা বাগান পরিচালকদের বিভিন্ন সংগঠনের দাবি, এ বছর পাতার উৎপাদন কমেছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালে পাতার মানও ভাল হয়নি। তা ছাড়া, যে সময় পাতা তোলা শেষ হয় তার চেয়ে এক মাস এগিয়ে চলতি বছর নভেম্বরের পরে পাতা তোলা বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে চা পর্ষদ। সব মিলিয়ে চা শিল্প সঙ্কটে। সে কারণে গত বারের থেকে কম হারে বোনাস দেওয়া ছাড়া, উপায় নেই। অন্যথায়, চা শিল্পের রাজস্বে ক্ষতি হবে, যার প্রভাব পড়বে বাগানে। গত বছরে একাধিক বাগানে ১৯% হারে বোনাস দেওয়া হয়েছিল।
শ্রমিক সংগঠনগুলি উৎপাদন কমে যাওয়ার যুক্তি মানলেও, তাদের দাবি, কলকাতা এবং শিলিগুড়ির চা নিলাম কেন্দ্রে চলতি বছরে চা পাতার ভাল দাম মিলেছে। প্রথম ‘ফ্লাশ’ বাজারে আসার পরে খোলা বাজারে চা পাতার দাম হঠাৎ বেড়ে যায়। শ্রমিক নেতাদের দাবি, উৎপাদন খানিক কমলেও, চা পাতার দাম বেড়ে যাওয়ায় মুনাফায় টান পড়েনি।
সহ প্রতিবেদন: সৌম্যদ্বীপ সেন