— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
খাবার, চায়ের মতো পানীয়ের কাঁচামাল উৎপাদনে কীটনাশক বা রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে কি না, গেলে কতটা তা ঠিক করে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক এফএসএসএআই। কিন্তু বহু সময়ই ব্যতিক্রম হয় বলে অভিযোগ। এ বার তাদের অনুমোদনহীন ও নিষিদ্ধ কীটনাশক বা রাসায়নিক যাতে চা উৎপাদনে ব্যবহার না হয়, সে জন্য বাগানগুলিকে সতর্ক করল টি বোর্ড। চা শিল্পের সংগঠনগুলিকে পাঠানো নির্দেশে বোর্ড জানিয়েছে, সম্প্রতি তাদের সঙ্গে বৈঠকে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক। টি বোর্ডের বার্তাকে স্বাগত জানালেও চা শিল্পের দাবি, বাগানগুলি এফএসএসএআইয়ের নিয়ম মেনে চলে। নিয়মিত পরীক্ষাও হয়।
দিন দুয়েক আগে চা শিল্পকে পাঠানো নির্দেশে টি বোর্ডের কন্ট্রোলার অব লাইসেন্সিং বলেছেন, সম্প্রতি এফএসএসএআইয়ের শীর্ষ-কর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়। তার একটিতে বাণিজ্য মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব পৌরহিত্য করেন। চায়ে বেশ কিছু নিষিদ্ধ রাসায়নিক ও কীটনাশকের উপস্থিতির কথা তুলে ধরে নিয়ন্ত্রক। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে আশঙ্কাজনক হতে পারে। তাই বড় বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষিদের বোর্ডের নির্দেশ, অনুমোদনহীন রাসায়নিক বা কীটনাশক যেন পাতার উৎপাদনে ব্যবহার না হয়। সেগুলি পাওয়া গেলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সম্প্রতি নিয়ন্ত্রকের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা আরও ২০টি কীটনাশকের তালিকাও ওই নির্দেশে জুড়েছে তারা।
ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল অরিজিৎ রাহা ও ক্ষুদ্র চা চাষিদের সংগঠন সিস্টা-র প্রেসিডেন্ট বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বোর্ডের বার্তাকে স্বাগত জানান। শনিবার অরিজিতবাবু বলেন, তাঁরা সদস্য বাগানগুলিকে নির্দেশ জানিয়েছেন। বিজয়গোপালের বক্তব্য, নিরাপদ চা উৎপাদন করা ক্ষুদ্র চাষিদের দায়িত্ব। তাঁদের হাত ধরেই ৫৫% চা তৈরি হয়। তবে তৃণমূল স্তরে এ নিয়ে সচেতনতার জন্য প্রচার চালাতে বোর্ডের কাছে আর্জি জানান তিনি।