—প্রতীকী চিত্র।
সরকারি কর্মচারীদের যেমন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছুটি থাকে, তেমন ছুটি বেসরকারি সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে খুব একটা থাকে না বললেই চলে। কিন্তু বেসরকারি সংস্থায় কর্মরতদের ক্ষেত্রে লিভ এনক্যাশমেন্ট বা ছুটি বিক্রি করে টাকা নেওয়া একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে আপনি কি জানেন, আপনারই প্রাপ্য ছুটি বিক্রি করার সময়, সেই টাকার ওপর কর চাপানো হয়? অনেকেই এই বিষয় তেমন অবগত নন। তবে এ কথা ভেবে কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলার কোনও প্রয়োজন নেই। এ বার বেসরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য সুখবর।
বাজেট ঘোষণার দিন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ জানিয়েছিলেন, বেসরকারি কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের সময় লিভ এনক্যাশমেন্ট থেকে পাওয়া অর্থের উপর কর ছাড়ের সীমা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আগে লিভ এনক্যাশমেন্ট করে পাওয়া মাত্র ৩ লক্ষ টাকায় কর ছাড় ছিল। তবে বাজেট ঘোষণার পরে এ নিয়মের পরিবর্তন হয়ে তা ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করা হয়।
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস বা সিবিডিটি-র তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, আয়কর আইনের ধারা ১০(১০এএ)(২)-এর আওতায় কর ছাড়ের মোট সীমা ২৫ লক্ষ টাকার বেশি হবে না। এই অংশটি বেসরকারি কর্মীদের সংস্থা থেকে পাওয়া অর্থের সঙ্গে সম্পর্কিত। নতুন বাজেট অনুসারে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেসের তরফে জানানো হয়েছিল, লিভ এনক্যাশমেন্টের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত সর্বাধিক ২৫ লক্ষ টাকার উপর পাওয়া কর ছাড় চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ধার্য হবে।
মূলত, ছুটি বিক্রি করে বা এনক্যাশ করে পাওয়া অর্থ চাকরিজীবীদের উপার্জনেরই একটি অংশ হিসেবে ধরা হয়। এত দিন পর্যন্ত এ ক্ষেত্রে কর ছাড় ছিল মাত্র ৩ লক্ষ টাকা। তার পর আবার পাওয়া টাকায় কর দিতে হত। কিন্তু এ বারে নতুন বাজেট অনুযায়ী নিয়মের খানিকটা বদল হয়েছে। এ বার ২৫ লক্ষ টাকা সীমা হওয়ায় বহু চাকরিজীবীই সুবিধা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ছুটি বিক্রি করে নগদ টাকা পাওয়া যাবে কি না তা নির্ভর করছে কর্পোরেট কোম্পানির পলিসির উপর।