প্রতীকী ছবি।
টানা ছ’দিন পেট্রল-ডিজ়েলের দাম অপরিবর্তিত। কিন্তু সেই সময়ে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল (ব্রেন্ট ক্রুড) ব্যারেলে প্রায় পাঁচ ডলার বেড়ে ফের ৮৫ ডলারের কাছে পৌঁছেছে। ফলে কেন্দ্রের ৫ (পেট্রল)-১০ (ডিজ়েল) টাকার উৎপাদন শুল্ক ছাঁটাই কত দিন দেশে তেলের দরের দৌড়কে ঠেকিয়ে রাখবে, সেই প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এটুকু শুল্ক কমিয়ে যে দামে বেশি দিন রাশ টেনে রাখা যাবে না, সেটা পরিষ্কার। তবে বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে সেটাকেই কেন্দ্র তুরুপের তাস করতে চায়। হাওয়া নিজেদের দিকে টানতে রাজ্যগুলিকেও ভ্যাট কমাতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। ফলে তেল নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতোর যখন চড়ছে, তখন বাড়ছে মানুষের কাঁপুনি। বিশেষত কেন্দ্রের শুল্ক কমানোর সুবিধাও যেখানে পুরোটা মেলেনি।
ডিলার সূত্রের দাবি, ৪ নভেম্বর কেন্দ্র শুল্ক কমিয়েছিল। কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে তার আগের দিন পেট্রলের মূল দাম (পরিবহণ খরচ ধরে) ছিল ৫২.৬৫ টাকা। তার উপর কেন্দ্রীয় শুল্ক, রাজ্যের ভ্যাট এবং ডিলারদের কমিশন ধরে লিটার ১১০.৪৯ টাকায় বিক্রি হয়। পরের দিন দাম কমে ১০৪.৬৭ টাকা হলেও তার মূল দাম ছিল ৫৩.০৩ টাকা। অর্থাৎ, তেল সংস্থা মূল দাম বাড়ানোয় শুল্ক কমার সুবিধা পুরোটা পাননি ক্রেতা। ডিজ়েলের মূল দাম (যার উপর কেন্দ্র ও রাজ্যের কর, ডিলারদের কমিশন চাপে) অবশ্য ৪ পয়সা কমেছিল।
জ্বালানির আমদানি খরচ কমাতে কেন্দ্র পেট্রলে ইথানল মেশানোয় জোর দিচ্ছে। আখ থেকে ইথানল তৈরির আগ্রহ বাড়াতে ২০২১-২২ বিপণনবর্ষে (ডিসেম্বর থেকে শুরু) তার দাম লিটারে ১.৪৭ টাকা বৃদ্ধিতে সায় দিয়েছে তারা।