—প্রতীকী ছবি।
পশ্চিম এশিয়ায় ঘনাচ্ছে যুদ্ধের কালো মেঘ। যে কোনও মুহূর্তে সম্মুখ-সমরে নামতে পারে ইরান ও ইজ়রায়েল। ইতিমধ্যেই ভারতের শেয়ার বাজারে পড়ছে তার প্রভাব। এখানকার অনন্ত ১৪টি সংস্থার ব্যবসা ছড়িয়ে আছে যুযুধান ওই দুই দেশে। ফলে সংঘাত আরও তীব্র হলে ওই সংস্থাগুলির বড় অঙ্কের লোকসানের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
ইরান-ইজ়রায়েলে যে শিল্পগোষ্ঠীগুলির বিনিয়োগ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল আদানি গ্রুপের আদানি পোর্টস, ফার্মা সংস্থা সান ফার্মা, গয়না প্রস্তুতকারী কল্যাণী জুয়েলার্স এবং টাটা গোষ্ঠীর টাইটান। এছাড়াও বহুজাতিক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা উইপ্রো ও টিসিএস, এবং টেক মাহিন্দ্রার বিপুল লগ্নি রয়েছে ইহুদি ভূমিতে।
শেয়ার বাজার সূত্রে খবর, পশ্চিম এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় এই সংস্থাগুলির স্টকের দর গড়ে ২ থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত পড়েছে। শুক্রবার, ৪ অক্টোবর আদানি পোর্টসের শেয়ারের সর্বশেষ দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪১০ টাকা। অর্থাৎ ১৫.২০ টাকা নেমেছে দর। যা ১.০৭ শতাংশের সমান।
ইজ়রায়েলের অন্যতম ব্যস্ত সমুদ্র বন্দর ‘হাইফা’-র একটা বড় অংশীদারিত্ব রয়েছে আদানি পোর্টসের। এছাড়াও ইহুদি ভূমির ফার্মা সংস্থা ট্যারো ফার্মাসিউটিক্যালসে বিনিয়োগ করেছে সান ফার্মা। যার শেয়ারের দর পড়েছে ০.১৫ শতাংশ।
শুক্রবার, বাজার বন্ধ হওয়ার সময়ে সান ফার্মার শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ১,৯০৭.৯৫ টাকা। প্রায় ৩ টাকা পড়েছে এর দাম। ইজ়রায়েলি সংস্থা তেভা ফার্মাসিউটিক্যালের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ড. রেড্ডিস ও লুপিনের মতো ভারতীয় সংস্থার। এগুলির স্টকেও বড় পতন দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পশ্চিম এশিয়ায় কল্যাণী জুয়েলার্সের তৈরি করা গয়নার ভাল চাহিদা রয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে যার শেয়ারের দাম নেমে এসেছে ৭১৩ টাকায়। এতে আড়াই শতাংশের বেশি পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। লোকসানের সম্ভাবনা রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই), লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো (এল অ্যান্ড টি), এশিয়ান পেইন্টস ও বার্জার পেইন্টসের।