শেয়ারের দুনিয়ায় পা রাখতে চলেছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা সুইগি। ছবি: সংগৃহীত
এ বার শেয়ার বাজারে পা রাখতে চলেছে জনপ্রিয় অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থা সুইগি। আর তাই নিয়ম মেনে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বা আইপিও আনছে এই প্রতিষ্ঠান। কবে থেকে সুইগির আইপিওতে করা যাবে আবেদন? স্টক প্রতি কত টাকা ধার্য করা হয়েছে দাম? আনন্দবাজার অনলাইনের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিশ।
নিয়ম অনুযায়ী, আইপিও আনতে হলে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবির কাছে আবেদন করতে হয়। ইতিমধ্যেই সেই কাজ সেরে ফেলেছে সুইগি। অনলাইন ফুড সরবরাহকারী সংস্থাটি আইপিওর মাধ্যমে ৩ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা করেছে। এতে বর্তমান বিনিয়োগকারীদের জন্য অফার ফর সেলে ১৮ কোটি ৫২ লক্ষ ৮৬ হাজার ২৬৫টি শেয়ার থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
বেঙ্গালুরু ভিত্তিক অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থাটি সেবিকে পাঠানো তাদের খসড়া আবেদনপত্রে জানিয়েছে, এক্সেল ইন্ডিয়া ও টেনসেন্ট ইউরোপ-সহ বর্তমান শেয়ার হোল্ডাররা প্রায় ১৮.৫৩ কোটি স্টক বিক্রি করবে। এই সংস্থার প্রধান শেয়ারহোল্ডারদের তালিকায় রয়েছে সফ্টব্যাঙ্কের নাম। যা ওলা ইলেকট্রিক, ফার্স্টক্রাই এবং ইউনিকমার্সের সাম্প্রতিক আইপিওগুলিকে পুঁজি করে অফার ফর সেলে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সফ্ট ব্যাঙ্ক সুইগিতে তার অংশীদারিত্ব বাজায় রাখবে বলে জানা গিয়েছে।
সুইগির আইপিওতে যে ব্যক্তিগত লগ্নিকারীরা শেয়ার বিক্রি করবেন তাঁরা হলেন, সংস্থাটির সহ প্রতিষ্ঠাতা লক্ষ্মী নন্দন রেড্ডি ওবুল, র্যামকো সিস্টেমের চেয়ারম্যান ভেঙ্কেত্রমা রাজা, প্রাক্তন সহ প্রতিষ্ঠাতা রাহুল জাইমিনি, নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সামিনা হামিদ এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা শ্রীহর্ষ মাজেটি।
খাবার সরবরাহকারী সংস্থাটির আইপিওর প্রাইস ব্যান্ড ও লটের আকার এখনও ঘোষণা করা হয়নি। ২০২৪ আর্থিক বছরে ৪৩ শতাংশ লোকসান কমাতে পেরেছে সুইগি। সংস্থাটির মূল প্রতিপক্ষ আরেকটি অনলাইন ফুড সংস্থা জ়োম্যাটোর শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্তি রয়েছে। এবার সুইগি সেখানে চলে এলে স্টকের দুনিয়াতেও দু’টি সংস্থার মধ্যে যে লড়াই দেখা যাবে তা বলাই বাহুল্য।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)