—প্রতীকী চিত্র।
নীতি তৈরি, লগ্নি বা নানা ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার ও শিল্পের হাতে সময়ে ঠিক তথ্য আসা জরুরি— এই যুক্তি তুলে ধরেই জিডিপি ও মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যান প্রকাশে দেরি হওয়ার কথা বললেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। পরিসংখ্যান মন্ত্রকের কর্তাদের এই দেরি কমিয়ে আনার বার্তা দিলেন। জোর দিলেন হিসাব নিখুঁত হওয়ার উপরেও।
এখন পরিসংখ্যান মন্ত্রক প্রতি ত্রৈমাসিকের জিডিপি বৃদ্ধির হার প্রকাশ করে সেটি পেরনোর পরে দ্বিতীয় মাসের শেষ কাজের দিনে। প্রতি মাসের মূল্যবৃদ্ধির হিসাব বেরোয় পরের মাসের ১২ তারিখে। শিল্পবৃদ্ধি ক্ষেত্রে তারও পরের মাসের ১২ তারিখে। মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অর্থনীতিবিদ ও উপদেষ্টারা সেই সময়েই আরও এগিয়ে আনতে বলেছেন। সওয়াল করেছেন নিখুঁত তথ্য প্রকাশের। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, মোদী জমানায় বার বার তথ্য প্রকাশে দেরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বেকারত্ব থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিসংখ্যানের অভাবের কথা তুলে ধরে সতর্ক করেছেন অর্থনীতিবিদেরা। জিডিপি হিসাবের সমস্যা তার হার বাড়িয়ে দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। সেই নিরিখে এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নীলেশ শাহ এবং কেন্দ্রের আর্থিক বিষয়ক সচিব অজয় শেঠ সমস্যাগুলির কথা মেনেছেন। নীতি তৈরি এবং শিল্পের লগ্নির খাতিরে তথ্য সংগ্রহের সময় কমানো, আরও নিখুঁত হিসাব এবং প্রযুক্তি ব্যবহার পথ খোঁজার কথাও বলেছেন। পরিসংখ্যান মন্ত্রকের আধিকারিকদের বার্তা, জিডিপি-র তথ্য আরও দ্রুত প্রকাশ সম্ভব। নির্দিষ্ট দিনে তা প্রকাশের সময়ও এগোনো যেতে পারে (এখন তা বেরোয় বিকেলে)। যাতে দিনের দিনেই সব ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।