সম্প্রতি ইউনিলিভারের ২০২৫ সাল পর্যন্ত তাদের মূল সংস্থায় পাঠানো স্বত্বমূল্যের অংশ ২.৬৫% থেকে বাড়িয়ে ৩.৪৫% করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতীকী ছবি।
বহুজাতিক সংস্থাগুলির স্বত্বমূল্যের (রয়্যালটি) সীমা বাঁধার নিয়ম ফের চালু করার দাবি জানাল আরএসএস ঘনিষ্ঠ স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ। মঙ্গলবার তাদের অভিযোগ, এই সমস্ত সংস্থা স্বত্বমূল্য এবং প্রযুক্তি ফি-এর নাম করে বিপুল বিদেশি মুদ্রা ভারতের বাইরে তাদের মূল সংস্থায় পাঠায়। ফলে ক্ষতি হয় দেশের অর্থনীতির। পড়ে টাকার দর।
এ প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের উদাহরণ তুলে এনেছে জাগরণ মঞ্চ। সম্প্রতি ইউনিলিভারের এই ভারতীয় শাখা ২০২৫ সাল পর্যন্ত তাদের মূল সংস্থায় পাঠানো স্বত্বমূল্যের অংশ ২.৬৫% থেকে বাড়িয়ে ৩.৪৫% করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঞ্চের সহ-আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজনের তোপ, স্বত্বমূল্য এবং প্রযুক্তি ফি-র নাম করে বহুজাতিকগুলি উন্নয়নশীল এবং সম্ভাবনাময় দেশ থেকে টাকা তোলে।
২০০৯ সালে বহুজাতিক সংস্থাগুলির স্বত্বমূল্যের সীমা তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। তার আগে পর্যন্ত তা সরকার নিয়ন্ত্রণ করত। অশ্বিনীর অভিযোগ, ২০০৯ সালে ইউপিএ জমানায় বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মার হাত ধরে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি নীতি শিথিলের পর থেকে বিপুল অর্থ এই ভাবে ভারতের বাইরে চলে গিয়েছে। ওই সময়ে স্বত্বমূল্য বাবদ সংস্থাগুলি বাইরে পাঠাত ৪০০ কোটি ডলার। এখন তা দাঁড়িয়েছে ২৫০০ কোটিরও বেশি। এমনকি আগামী দিনে ওই সব সংস্থা নতুন করে ভারতে লগ্নি না-করলেও স্বত্বমূল্য দিতেই থাকবে। প্রভাব পড়বে টাকার দাম তথা ঘাটতির উপরে।