লাইসেন্স ফি-র নির্দেশে প্রমাদ গুনছে টেলি সংস্থা

সরকারি সূত্রের অবশ্য দাবি, স্পেকট্রাম ব্যবহারের চার্জ (এসইউসি), জরিমানা ও সুদ মিলিয়ে সংস্থাগুলিকে আসলে গুনতে হবে মোট ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:২০
Share:

প্রতীকী ছবি

টেলিকম সংস্থাগুলি আয়ের কোন হিসেবের উপরে ভিত্তি করে কেন্দ্রকে লাইসেন্স ফি দেবে, তা নিয়ে দীর্ঘ বিতর্কের অবসান হল। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, এ ব্যাপারে শিরোধার্য হবে টেলিকম দফতরের (ডট) হিসেব। অর্থাৎ, অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ বা এজিআর। সেই অনুযায়ী সংস্থাগুলির কাছ থেকে বকেয়া ৯২ হাজার কোটি টাকারও বেশি আদায় করতে পারবে তারা। এ ব্যাপারে টেলিকম সংস্থাগুলির আপত্তি খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ বলেছে, এই নিয়ে আর মামলা হবে না।

Advertisement

সরকারি সূত্রের অবশ্য দাবি, স্পেকট্রাম ব্যবহারের চার্জ (এসইউসি), জরিমানা ও সুদ মিলিয়ে সংস্থাগুলিকে আসলে গুনতে হবে মোট ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভারতী এয়ারটেলকে প্রায় ৪২,০০০ কোটি টাকা দিতে হবে। ভোডাফোন আইডিয়ার বকেয়া ৪০,০০০ কোটি টাকা এবং রিলায়্যান্স-জিয়োর ১৪ কোটি টাকা। সদ্য কেন্দ্রের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস পাওয়া বিএসএনএল এবং এমটিএনএলেরও দায় দাঁড়াবে ৪,৫০০ কোটি টাকার বেশি। সামগ্রিক ভাবে টেলিকম শিল্প এখন আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত। এই অবস্থায় নতুন আর্থিক বোঝা চাপায় তারা অখুশি।

টেলিকম শিল্পের সংগঠন সিওএআইয়ের ডিজি রাজন ম্যাথুজের মতে, এই সিদ্ধান্ত ‘সর্বনাশা ধাক্কা’। এটা সংস্থাগুলির আর্থিক মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন। ভোডাফোন আইডিয়া বলেছে, তারা হতাশ। রায় খতিয়ে দেখে সুযোগ পেলে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হবে। এয়ারটেলের বক্তব্য, এই রায় ব্যবসার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে দুর্বল করবে। দু’জনেরই দাবি, আগে ১৫টি সংস্থার ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হলেও এখন মাত্র দু’টি বেসরকারি সংস্থার উপরে চাপ পড়বে। কারণ, বাকিরা ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। টেলি শিল্পের বক্তব্য, এই পরিস্থিতি থেকে বেরনোর পথ খুঁজতে কেন্দ্রকে উদ্যোগী হওয়ার আর্জি জানিয়েছে তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement