জেট এরায়ওয়েজের বিমান। —ফাইল চিত্র।
প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর আগে বন্ধ হয়েছিল উড়ান। তার পর থেকে শুরু হয় নতুন উদ্যমে আকাশ ছোঁয়ার চেষ্টা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডানা মেলা হল না জেট এয়ারওয়েজ়ের। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এক সময়কার সেরা উড়ান সংস্থাটির ঘুরে দাঁড়ানোর সমস্ত আশায় কার্যত দাঁড়ি পড়ল। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, দেউলিয়া আইনের আওতায় সম্পত্তি বেচে গুটিয়ে নিতে হবে জেট-কে। সংস্থাটিকে কেনার শর্ত হিসেবে যে ২০০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে জালান-কালরক গোষ্ঠী, তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। আর স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন ঋণদাতাদের কমিটি ওই গোষ্ঠীর দেওয়া ১৫০ কোটির ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ভাঙাতে পারবে।
এ দিন জেটের ঋণদাতা এবং জালান-কালরকের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে সংবিধানের ১৪২ নম্বর ধারায় বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করছে তারা। সেই অনুযায়ী দেউলিয়া আইনে হস্তান্তর নয়, সংস্থার সম্পত্তি বেচে গুটিয়ে নিতে হবে।
২০১৯-এর ১৭ এপ্রিল পুঁজির অভাবে সাময়িক ভাবে পরিষেবা বন্ধ করে নরেশ গয়ালের তৈরি জেট। পরে বকেয়া মাত্রা ছাড়ালে যায় দেউলিয়া আদালতে (এনসিএলটি)। সেখানেই ২০২১-এ তাদের কিনতে দরপত্র হেঁকে সফল হয় জালান-কালরক। জানানো হয়, ৩৫০ কোটি টাকা দিতে হবে তাদের। কিন্তু হস্তান্তর আটকায় ঋণদাতাদের আপত্তিতে। শেষে গত মার্চে এনসিএলটি-র আপিল আদালত (এনসিএলএটি) হয়ে জালানদের সঙ্গে তাদের মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, জালানরা প্রথামিক ধাপের টাকা তো দেয়ইনি, মেটায়নি দেউলিয়া আইনে সংস্থা পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া চালানোর খরচ ও কর্মীদের বকেয়া। সব মিলিয়ে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয়নি।