প্রতীকী ছবি।
আবেদনকারীরা সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন তুলেছেন, ঋণের কিস্তি স্থগিত (মোরাটোরিয়াম) রাখা হয়েছিল করোনা-সঙ্কটে সুরাহা দিতে। তা হলে কেন সুদ বা সুদের উপরে সুদ চাপাবে ব্যাঙ্কগুলি? কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কিছু সুবিধা দেওয়ার পদক্ষেপ করলেও, যতটা দেওয়া উচিত ছিল ততটা হয়নি বলেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তাঁরা। এ কথা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চই। এই অবস্থায় ঋণগ্রহীতাদের সাময়িক কিছুটা স্বস্তি দিয়ে এ দিন শীর্ষ আদালত অন্তর্বর্তী নির্দেশে বলেছে, মোরাটোরিয়ামের সুবিধা দেওয়া ঋণে সুদ আদায় সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন কোনও ঋণকে অনুৎপাদক সম্পদের তকমা দিতে পারবে না ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান। আদালতে ব্যাঙ্কের তরফে আশ্বাস, দু’মাস ঋণকে অনুৎপাদক সম্পদ চিহ্নিত করা হবে না।
মোরাটোরিয়ামের সময় বকেয়া ইএমআইয়ে সুদ এবং সুদের উপর সুদ চাপানোর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন ঋণগ্রহীতারা। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এ দিনের নির্দেশে অন্তত কিছু দিন নিশ্চিন্ত তাঁরা।
আরবিআই ও কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অবশ্য আদালতে বলেন, করোনার ধাক্কা লেগেছে প্রতিটি ক্ষেত্রেই।। তবে তার চরিত্র ভিন্ন। তাঁর দাবি, কেন্দ্র ও আরবিআইয়ের দেওয়া সুরাহার লক্ষ্য ছিল তিনটি— ঋণগ্রহীতাদের ইএমআই পিছিয়ে দিয়ে টাকা মেটানোর চাপ কমানো, সমস্যায় পড়া ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করা ও কোনও ঋণ যাতে অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত না হয়, তা দেখা। ফলে সুদ মকুবের যুক্তি নেই।
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেছে
• যে ঋণের অ্যাকাউন্ট ৩১ অগস্ট পর্যন্ত অনুৎপাদক সম্পদ ঘোষিত হয়নি, পরবর্তী নির্দেশ জারি না-হওয়া পর্যন্ত সেগুলিকে অনুৎপাদক সম্পদ বলা যাবে না।
• আবেদনকারীদের অভিযোগ, কেন্দ্র ও আরবিআই সুরাহার পদক্ষেপ করলেও যতটা সুবিধা দেওয়া উচিত ছিল দেয়নি।
ব্যাঙ্কের আশ্বাস
• কোনও ঋণ অনুৎপাদক সম্পদ হবে না অন্তত দু’মাস।
কেন্দ্রের বার্তা
• ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র অর্থনীতির মেরুদণ্ড এবং প্রতিটি ক্ষেত্র ও প্রতিটি অর্থনীতি অতিমারির কারণে চাপে রয়েছে।
• সারা বিশ্বে স্বীকৃত, সুদ মকুব অর্থনীতির চাঙ্গা করার ক্ষেত্রে ঠিক পথ নয়। তাই সে পথে না-হাঁটারই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কিস্তি মেটানোর চাপ কমবে।