ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে ব্যাহত গ্রাহক পরিষেবা

এআইবিইএ সভাপতি রাজেন নাগরের অবশ্য দাবি, ‘‘আংশিক নয়, অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে ব্যাঙ্কের পরিষেবা। ধর্মঘট সফল।’’ তবে স্টেট ব্যাঙ্কের বেশির ভাগ শাখা খোলা ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৫৯
Share:

কৌতূহলী: মঙ্গলবার ছিল ব্যাঙ্ক ধর্মঘট। খোলেনি এটিএম-ও। মধ্য কলকাতায় তেমনই এক বন্ধ এটিএম কাউন্টারের সামনে হঠাৎ ছবি তুলতে ব্যস্ত হলেন জনৈক ব্যক্তি। ঝাঁপে লাগানো ধর্মঘটের পোস্টারের। নিজস্ব চিত্র

ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ফলে মঙ্গলবার দেশ জুড়ে আংশিক ভাবে ব্যাহত হল ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। তবে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও কেরলে অধিকাংশ ব্যাঙ্কেরই ঝাঁপ বন্ধ ছিল। বহু এটিএম বন্ধ থাকায় অনেক জায়গায় টাকা তুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহক। প্রধানত কেন্দ্রের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ নীতির প্রতিবাদ জানাতেই এই ধর্মঘট ডেকেছিল ব্যাঙ্ক শিল্পের দুই কর্মী ইউনিয়ন, এআইবিইএ এবং বেফি।

Advertisement

এআইবিইএ সভাপতি রাজেন নাগরের অবশ্য দাবি, ‘‘আংশিক নয়, অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে ব্যাঙ্কের পরিষেবা। ধর্মঘট সফল।’’ তবে স্টেট ব্যাঙ্কের বেশির ভাগ শাখা খোলা ছিল। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া স্টাফ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ খান বলেন, ‘‘ধর্মঘটে স্টেট ব্যাঙ্কের কর্মীরা সামিল হননি। তবে এর মাধ্যমে তোলা দাবিগুলির প্রতি নৈতিক সমর্থন জানিয়েছি আমরা।’’

খোলা ছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং বেশ কিছু বেসরকারি ব্যাঙ্কও। অল ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ্ত সাহা রায় বলেন, ‘‘আরবিআইয়ে আরটিজিএস, এনইএফটি বা চেক ক্লিয়ারিংয়ের কাজ হয়েছে। তবে ধর্মঘটের প্রতি নৈতিক সমর্থন আছে।’’ সমবায় ব্যাঙ্ক ও গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ছিল ধর্মঘটের আওতার বাইরে।

Advertisement

বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তির প্রতিবাদ করা ছাড়াও, আমানতে সুদ কমানো, ব্যাঙ্কিং পরিষার চার্জ বাড়ানোর প্রতিবাদ করাও ছিল এ দিনের ধর্মঘটের উদ্দেশ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement