প্রতীকী ছবি
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খারাপ লাইন মেরামতি-সহ ‘উন্নত পরিষেবা’ দেওয়ার লক্ষ্যে ঠিকাদার নিয়োগের নতুন নিয়ম চালু করা নিয়ে বিএসএনএলের শাখা ক্যালকাটা টেলিফোন্সে (ক্যাল-টেল) জট অব্যাহত। যার জেরে বিপুল সংখ্যক গ্রাহক নষ্ট হয়ে পড়ে থাকা ফোনের লাইন সারাইয়ের মতো পরিষেবা না-পেয়ে হয়রান হচ্ছেন বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাজ্য প্রশাসন ও ক্যাল-টেলের কর্তারা বৈঠক করলেন নবান্নে। কোনও পক্ষই সরকারি ভাবে মুখ খোলেনি। তবে সূত্রের খবর, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়েছে সেখানে। রাজ্য প্রশাসন বলেছে, আভ্যন্তরীণ সমস্যার দায় ক্যাল-টেলকেই মেটাতে হবে। তবে আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যায় কর্তৃপক্ষের আর্জিতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে তারা।
বকেয়া বেতন নিয়ে পুরনো ঠিকা কর্মীদের আন্দোলনে ক্যাল-টেলের বহু এক্সচেঞ্জের লাইন মেরামতি-সহ বিভিন্ন কাজ থমকে। কর্তৃপক্ষ আগেই বলেছেন, যেখানে নতুন ঠিকাদার সুষ্ঠু ভাবে কাজ শুরু করতে পেরেছেন, সেখানকার পুরনো ঠিকাদারেরা বকেয়া বিল জমা দিলে তা কিস্তিতে মেটানো হবে। ক্যাল-টেলের দাবি, বিভিন্ন জায়গায় সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে। তবে অনেক জায়গায় সংস্থার কর্মী-অফিসারদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বা নিগৃহীত হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। সবই প্রশাসনকে জানিয়েছিল সংস্থা।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি নিয়েও এ দিন কথা হয়। তবে ক্যাল-টেল কর্তৃপক্ষকে রাজ্য স্পষ্ট করে দিয়েছে, সংস্থার অন্দরের বিষয় বলে ঠিকা কর্মীদের শ্রম-বিরোধ মেটানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। যদিও আইনশৃঙ্খলা খারাপ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ক্যাল-টেল প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার টেলিফোন ভবনের সামনে ঠিকা কর্মীদের একাংশের একটি বিক্ষোভ সমাবেশ হলেও কোনও গোলমাল হয়নি। আপাতত ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা জট কাটার অপেক্ষায়।