সিমেন্ট উৎপাদনে দূষণ ছড়ানোয় বিশ্বে চিনের পরেই ভারত। —ফাইল ছবি
নগরোন্নয়ন ও শিল্পায়নের জেরে সিমেন্টের চাহিদা বাড়ছে। ফলে উৎপাদন বাড়াতে নতুন লগ্নির পথ খুললেও, কার্বন নির্গমনের কারণে বাড়ছে দূষণ বৃদ্ধির আশঙ্কা। এই বিপরীতমুখী পরিস্থিতির উল্লেখ করে তাই বণিকসভা ইন্ডিয়া চেম্বারের সভায় পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়ায় জোর দিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা। ফের পশ্চিমবঙ্গে লগ্নির ডাকও দিলেন শিল্পমহলকে।
শশীর দাবি, সমীক্ষা অনুযায়ী ২০৫০ সালে ইস্পাত ও সিমেন্টের চাহিদা তিন-চার গুণ বৃদ্ধির সম্বাবনা রয়েছে। কিন্তু কার্বন নির্গমও বাড়বে প্রায় তিন গুণ। আর একটি সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, সিমেন্ট উৎপাদনে দূষণ ছড়ানোয় বিশ্বে চিনের পরেই ভারত। শিল্পমন্ত্রীর বক্তব্য, একধারে আর্থিক উন্নয়ন এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা চ্যালেঞ্জের। সেই ভারসাম্য বজায় রেখেই সিমেন্ট শিল্পে লগ্নির ডাক দেন তিনি। সরকার আর কী করতে পারে, শিল্পের কাছে তার পরামর্শও চান। আশ্বাস দেন শিল্পের পাশে দাঁড়ানোর।
অসমভিত্তিক পূর্বাঞ্চল সিমেন্টের এমডি বেদান্ত আগরওয়ালের ইঙ্গিত, রাজ্যে আসতে চান তাঁরা। আর বি কে বিড়লা গোষ্ঠীর মঙ্গলম সিমেন্টের কর্তা যশবন্ত মিশ্র জানান, ছত্তীসগঢ়ে তাঁদের কাঁচামালের ব্লক চালু হলে পশ্চিমবঙ্গে সিমেন্ট কারখানা চালুর বিষয়টি বিবেচনা করবেন।