তেল কেনার অপেক্ষায় পেট্রল পাম্পের লাইনে ছবি রয়টার্স।
চরম আর্থিক সঙ্কটে পর্যদুস্ত শ্রীলঙ্কায় আরও একটি খারাপ খবর। সরকারি সূত্রের দাবি, ভারত তাদের ধারে যে তেল জোগাচ্ছে, তা এ মাসের শেষে ফুরোলে কার্যত ডিজেল শূন্য হতে পারে দেশের সমস্ত পাম্প।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকে কখনও এমন আর্থিক সঙ্কটে পড়েনি শ্রীলঙ্কা। দেশবাসীর প্রবল বিক্ষোভের মুখে প্রায় সব মন্ত্রীই পদত্যাগ করেছেন। রয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে এবং তাঁর ভাই প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষে। এই নজিরবিহীন সঙ্কটের জন্য তাঁর সরকার দায়ী নয়, এই দাবি করে প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, অতিমারির জেরেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পর্যটন ধাক্কা খাওয়ায় সঙ্কট বেড়েছে।
রান্নার গ্যাস, তেল, খাবার ও অন্যান্য অত্যাবশ্যক পণ্য না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মানুষ। ডিজ়েলের অভাবে বন্ধ হয়েছে বহু তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ফলে কোথাও কোথাও দিনে দশ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না।
ভারত ধারে শ্রীলঙ্কাকে প্রায় ৫০ কোটি ডলারের তেল জোগানোর কথা জানিয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে। এপ্রিল থেকে পর্যায়ক্রমে জাহাজে তেল যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চাহিদা ও জোগানের ঘাটতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, মার্চের শেষ থেকেই তেল পাঠানো শুরু হয়। এর আগে আমদানির অর্থ শোধ করতে না পারায় নভেম্বরে দু’বার সে দেশের একমাত্র তেল শোধনাগারটি বন্ধ রাখতে হয়। সরকারি সূত্রের খবর, আগামী ১৫, ১৮ ও ২৩ এপ্রিল ভারত থেকে পরবর্তী জাহাজগুলি যাওয়ার কথা। কিন্তু এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ভারতের কাছে তার মেয়াদ আরও বাড়ানোর আর্জি না জানালে বরাতগুলি শেষ হয়ে যাবে। তখন মূলত পাম্পে ডিজ়েলের ভাঁড়ার শেষ হওয়ার আশঙ্কাই দানা বাঁধছে।