—প্রতীকী ছবি।
আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে বিমান পরিবহণ সংস্থা স্পাইস জেট। আর্থিক ভাবে জীর্ণ সংস্থাটি সময়ে কর্মীদের বেতন দিতে পারছে না বলে অভিযোগ। সংস্থার অন্দরে খবর, বেতনের পাশাপাশি কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে অর্থও সময়ে জমা করতে পারছে না স্পাইস জেট। লাগাতার লোকসানের ফলেই এমন অবস্থা বলে অনেকে মনে করছেন। এমনকি, আগামিদিনে ওই সংস্থার উড়ানের সংখ্যা কমতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা করছেন। যদিও কর্মীদের বেতন সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছে স্পাইস জেট। তারা জানিয়েছে, বেশির ভাগ কর্মীকে সঠিক সময়েই বেতন দেওয়া হচ্ছে। কিছু সমস্যা রয়েছে। তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।
গত পাঁচ বছর ধরে লোকসানে চলছে অজয় সিংহের মালিকাধীন স্পাইস জেট। ২০১৯ সালে সংস্থাটির মোট ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৩০২ কোটি টাকা। গত বছরের আর্থিক রিপোর্ট সামনে আসতে জানা যায় ওই ক্ষতির অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫১২ কোটি টাকায়। তারই মধ্যে কর্মীদের বেতন, পিএফ এবং পেনশন খাতে অর্থ জমা না করার অভিযোগ উঠল ওই বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে। এমনকি তারা কর্মী ছাঁটাই করতে পারে বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছে। এমতাবস্থায় সংস্থাটির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন অনেকে। যদিও সংস্থার মুখপাত্র চিন্তার কারণ নেই বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, ৭৫ শতাংশের বেশি কর্মীকে বেতন দেওয়া হয়েছে। পেনশনের বকেয়া টাকা অদূরে ভবিষ্যতে জমা করা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘কঠিন সময় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে সংস্থা। ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর লোকসানের পরিমাণ কমেছে।’’
প্রায় ৪৫টির কাছাকাছি বিমান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছে স্পাইস জেট। ফলে এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে না পারলে আগামী সময়ে তাদের উড়ানের সংখ্যাও কমতে পারে। কারণ, অনেক বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা তাদের বিমান ভাড়া দেওয়া বা মেয়াদ বৃদ্ধিতে নারাজ। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট বলছে, আগামী মার্চ মাসে ওই বিমান সংস্থার আটটি উড়ানের ভাড়ার মেয়াদ শেষ হবে। তার পরে ভাড়ার মেয়াদ পুনরায় বৃদ্ধি না করলে তাদের হাতে ৩৫টি বিমান পড়ে থাকবে।