—প্রতীকী চিত্র।
পেট্রল ও ডিজ়েল-সহ বিভিন্ন জ্বালানি জিএসটির আওতায় আসবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা অনেক দিনের। তবে এই বল যে রাজ্যের কোর্টেই ঠেলে রাখা আছে, তা আরও এক বার স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাঁর বক্তব্য, এ ব্যাপারে রাজ্যগুলিকে একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ঠিক করতে হবে করের হার।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, জ্বালানিকে জিএসটির আওতায় আনার দাবি মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার সাধারণ মানুষেরও। যদিও তাতে পণ্যগুলির করের সামগ্রিক হার কমবে কি না, সে ব্যাপারে বিভিন্ন যুক্তি রয়েছে। তবে অনেকে বলছেন, হার যা-ই হোক না কেন তেল সংস্থাগুলি অন্তত কাঁচামালে কর ফেরতের সুবিধা পাবে। আবার বহু রাজ্য এ ব্যাপারে নারাজ। কারণ, জ্বালানিতে জিএসটি চাপলে করের উপরে তাদের শেষতম নিয়ন্ত্রণটুকুও চলে যাবে। ফলে সব মিলিয়ে বিষয়টি জটিল।
২০১৭ সালের ১ জুলাই জিএসটি চালু হওয়ার সময় থেকেই অশোধিত তেল, পেট্রল, ডিজ়েল, বিমানের জ্বালানি এবং প্রাকৃতিক গ্যাসকে জিএসটি আইনের অন্তর্ভুক্ত করা রয়েছে। তবে সেই সময়েই ঠিক হয়েছিল, তা বসানোর ব্যাপারে ভবিষ্যতে ভাবনাচিন্তা করা হবে। এখন কেন্দ্র এই পণ্যগুলির উপরে উৎপাদন শুল্ক এবং রাজ্য ভ্যাট চাপায়। এই উৎপাদন শুল্ক বাড়ানো নিয়ে বহু বার বিতর্ক চড়েছে। নির্মলা বলেন, ‘‘প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সময় থেকেই জ্বালানিকে জিএসটিতে আনার ইচ্ছা কেন্দ্রের। সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্যকে।’’