Raw Jute

Raw jute: কাঁচা পাটের চড়া দাম, চাপে রফতানি

পাট শিল্প সূত্রের খবর, অক্টোবরের শুরুতে কাঁচা পাটের সর্বোচ্চ মূল্য কুইন্টালে ৬৫০০ টাকায় বেঁধে দেন জুট কমিশনার।

Advertisement

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৪৬
Share:

ফাইল চিত্র।

এক দিকে বাজারে কাঁচা পাটের দাম আরও বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন চটকল মালিকেরা। অন্য দিকে পাটপণ্য প্রস্তুতকারক ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলি বলছে, ইতিমধ্যে দাম যা বেড়েছে, তাতে রফতানির জন্য পাটজাত পণ্যের কাঁচামাল জোগাড়ে সমস্যায় পড়ছে তারা। ফলে পণ্যের দাম বাড়াতে হওয়ায় রফতানির বাজার হারাতে হচ্ছে তাদের। সেই কথা জুট কমিশনারের দফতর এবং কেন্দ্রকেও জানিয়েছে সংস্থাগুলি।

Advertisement

পাট শিল্প সূত্রের খবর, অক্টোবরের শুরুতে কাঁচা পাটের সর্বোচ্চ মূল্য কুইন্টালে ৬৫০০ টাকায় বেঁধে দেন জুট কমিশনার। সেই সময়ে বাজারে তার দাম ছিল ৫৮০০ টাকার আশেপাশে। পাটজাত পণ্য রফতানিকারী ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলির অভিযোগ, তার পর থেকেই গত তিন মাসে পাটের সুতো, কাপড় (ফ্যাব্রিক) ইত্যাদির দর বেড়েছে প্রায় ৩০%। এতে রফতানির জন্য তৈরি পণ্যের উৎপাদন খরচও ক্রমশ বেড়ে চলেছে। অথচ পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত দামে তা বিক্রি করতে না-পারায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।

জুট প্রডাক্টস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল জানিয়েছে, কাঁচা পাট এবং তা থেকে তৈরি কাঁচামালের দাম বৃদ্ধিতে গত দু’মাসেই রাজ্যের পাটজাত পণ্য তৈরির সংস্থাগুলি রফতানির বাজার হারিয়েছে ২০ শতাংশেরও বেশি। আশঙ্কা, অবস্থা না-পাল্টালে হাতছাড়া হতে পারে আরও বরাত। মূলত ভারত ও বাংলাদেশই পাটের তৈরি হাত ব্যাগ, কার্পেট, গাড়ি তৈরি এবং নার্সারিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী রফতানি করে। সংগঠনের চেয়ারম্যান রাজেশ খেমকা বলেন, “দেশে কাঁচা পাটের দাম বৃদ্ধির জেরে বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে ভারত। বাংলাদেশের পণ্যের দাম কম হওয়ায় বরাত চলে যাচ্ছে তাদের কাছে। এই সমস্যার কথা জুট কমিশনার-সহ কেন্দ্রকে
ইতিমধ্যেই জানিয়েছি।’’

Advertisement

পাটজাত পণ্য রফতানিকারী সংস্থা রোমা ইন্টারন্যাশনালের সিইও কে বাগচীর কথায়, “অতিমারির সমস্যা কাটিয়ে রফতানির বাজার ফিরে পেয়েছিলাম। কিন্তু কাঁচামালের দাম দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছি। এ দেশের পণ্যের দাম প্রায় ৩০% বেড়ে যাওয়ায় বরাত চলে যাচ্ছে বাংলাদেশের সংস্থার কাছে।’’

আর আন্তর্জাতিক বাজারে একবার বরাত হারালে তা ফিরে পাওয়া খুবই কঠিন বলে জানাচ্ছেন অপর রফতানিকারী ইউকন এক্সপোর্টসের ডিরেক্টর ঋষি জালান। তিনি বলেন, “এ বার ফলন খুব ভাল হলেও বেআইনি ভাবে কাঁচা পাট মজুতের জন্যই বাড়ছে তার দাম। ফলে দর বাড়ছে পাটজাত পণ্য তৈরির কাঁচামালেরও। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না-হলে, মার খাবে রাজ্যের পাটজাত পণ্যের রফতানি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement