S&P Global Ratings

চোখ থাকবে আর্থিক পরিসংখ্যানে

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস জানাল, আগামী এক-দু’বছর কেন্দ্রের নীতির পাশাপাশি অর্থনীতির পরিসংখ্যানগুলির দিকে নজর রাখবে তারা। তার ভিত্তিতেই ক্রেডিট রেটিং সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৪ ০৫:১৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সদ্য ভারতীয় অর্থনীতি সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি ‘স্থিতিশীল’ থেকে বাড়িয়ে ‘ইতিবাচক’ করেছে আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস। আজ তারা জানাল, আগামী এক-দু’বছর কেন্দ্রের নীতির পাশাপাশি অর্থনীতির পরিসংখ্যানগুলির দিকে নজর রাখবে তারা। তার ভিত্তিতেই ক্রেডিট রেটিং সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখন ভারতের রেটিং (BBB-) রয়েছে লগ্নিযোগ্যতার শেষ স্তরে। উল্লেখ্য, কোনও দেশকে ঋণ দেওয়া কতটা নিরাপদ তার ইঙ্গিত দেয় রেটিং। তা ভাল হলে সংশ্লিষ্ট দেশ বিদেশ থেকে কম সুদে ঋণ পেতে পারে। এসঅ্যান্ডপি অবশ্য বলেছে, লোকসভা নির্বাচনের ফল যা-ই হোক না কেন, সরকারের নীতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলেই তাদের আশা। তবে ভারতের রাজকোষ ঘাটতি একই শ্রেণির উন্নয়নশীল দেশগুলির তুলনায় বেশি বলে সতর্ক করেছে তারা।

Advertisement

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংসের বিশ্লেষক ইফার্ন ফুয়ার বক্তব্য, ‘‘সরকার রাজকোষ ঘাটতি কমিয়ে আনার যে নীতি নিয়েছে, তার রূপায়ণ ঠিক মতো হচ্ছে কি না, সে দিকে পরবর্তী দু’বছর আমাদের নজর থাকবে। অর্থনীতির পরিসংখ্যানের দিকে চোখ থাকবে এক-দু’বছর। তার পরেই রেটিংয়ে উন্নতির সিদ্ধান্ত।’’ আজই ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জিডিপি সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। গত বছর রাজকোষ ঘাটতি নেমেছে ৫.৬৩ শতাংশে। যাকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ৪.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। তবে মূল্যায়ন সংস্থাটির ডিরেক্টর (এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় মূল্যায়ন) অ্যান্ড্রু উড মনে করিয়ে দিয়েছেন, BBB রেটিংয়ের উন্নয়নশীল দেশগুলির তুলনায় ভারতের আর্থিক পারফরম্যান্স এখনও পিছিয়ে। মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়া, তাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের রাজকোষ ঘাটতি এ বছর ৪ শতাংশের নীচে নামবে। যদিও এটিই একমাত্র মাপকাঠি নয়। আর্থিক স্বাস্থ্য, বৃদ্ধির সম্ভাবনা, ঋণপত্রের মান, ঘাটতি পূরণের পদ্ধতি-সহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।

ফুয়া জানিয়েছেন, ১৯৯১ সালে উদার আর্থিক নীতি প্রবর্তনের পর থেকে বিভিন্ন দল এবং জোটের শাসন সত্ত্বেও বৃদ্ধির উঁচু হার ধরে রাখতে পেরেছে ভারত। নীতির ধারাবাহিকতার ফলেই তা সম্ভব হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement