বাণিজ্য মেলার মঞ্চে ইতিমধ্যেই ২০০ লগ্নিকারী নতুন সংস্থায় পুঁজি ঢালার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে রফতানি বাড়াতে সব রকম সহায়তা দেবেন তাঁরা, বুধবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য মেলার (বেঙ্গল গ্লোবাল ট্রেড এক্সপো) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে এই আশ্বাস দিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি জানান, এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্যই রফতানির সুযোগ তৈরি। অনুষ্ঠানে কলকাতার মেয়র এবং নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়কমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, নতুন সংস্থাগুলির (স্টার্ট আপ) পাশেও আছেন তাঁরা। তাদের উৎসাহ দিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা করছে রাজ্য।
বিশ্ব বাংলা মিলন মেলা প্রাঙ্গণে বাণিজ্য মেলা চলবে ২৯ তারিখ পর্যন্ত। আয়োজক রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম এবং কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সভাপতি সুশীল পোদ্দার জানান, এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ নতুন সংস্থার যোগদান। সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তাদের লগ্নিকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করানো হচ্ছে।
শশী জানান, ২০১৮ সালে রফতানি নীতি এনেছে রাজ্য। গত বছর এসেছে কৃষি পণ্য রফতানি নীতি। ফলে বিশ্ব বাজারের সঙ্কটে দেশের রফতানি যেখানে কমেছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে গত অর্থবর্ষে (২০২১-২২) তা বেড়েছে ৫৪.৯৬%। বিদেশে পাড়ি দিয়েছে ১৩৯০ কোটি ডলারের পণ্য। ফিরহাদের হিসাব, রাজ্যে ২০০টিরও বেশি শিল্প পার্কে ২০ হাজার একর জমির ব্যবস্থা করেছে সরকার। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থা প্রায় ৫০ লক্ষ। কর্মী ১.৩৬ কোটি জন। এই সংস্থাগুলির ৫৫৪টি শিল্পগুচ্ছ (এমএসএমই ক্লাস্টার) রয়েছে। তাঁর দাবি, ছোট শিল্পের সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে গোটা দেশের শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গই।
সুশীলের দাবি, বাণিজ্য মেলার মঞ্চে ইতিমধ্যেই ২০০ লগ্নিকারী নতুন সংস্থায় পুঁজি ঢালার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, “আমাদের আশা, এই মেলার হাত ধরে রাজ্যে লগ্নি আসবে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার। নতুন সংস্থায় প্রায় ৯০০ জনের কর্মসংস্থানও হবে।’’