—প্রতীকী চিত্র।
শেয়ার বাজারে যেন শনির দৃষ্টি। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারেও ক্ষতির মুখ দেখল শেয়ার বাজার। বুধবার যেখানে শেষ করেছিল, সেখান থেকেই পতনের শুরু। বৃহস্পতিবার দিনের শেষে ৫৪২.১০ পয়েন্ট হারিয়ে সেনসেক্স থামল ৬৫২৪০.৬৮ পয়েন্টে। এ দিন এক সময়ে ৬৪ হাজারের ঘরে নেমে গিয়েছিল শেয়ার বাজারের সূচক। শেষের দিকে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেয়। অন্য দিকে, ১৪৪.৯০ পয়েন্ট হারিয়ে ১৯৩৮১.৬৫ পয়েন্টে থামল নিফটি।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অধিকাংশ সেক্টরই ক্ষতির মুখে পড়লেও বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) এ দিন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রিয়্যালটি, মেটাল, ব্যাঙ্ক, ফিন্যান্স। প্রথম তিনটি সেক্টরের ক্ষতির পরিমাণ ১ শতাংশেরও বেশি। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে (এনএসই) এই তালিকায় রয়েছে রিয়্যালটি, ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, ব্যাঙ্ক, বেসরকারি ব্যাঙ্ক। এই চার সেক্টরেরই ক্ষতির অঙ্ক ১ শতাংশের বেশি। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার এনএসইতে সর্বাধিক লাভের মুখ দেখেছে ফার্মা, মিডিয়া, মাইক্রোক্যাপ ২৫০। ফার্মা সেক্টরের লাভের পরিমাণ ১.০৪ শতাংশ। বিএসইতে লাভের তালিকায় রয়েছে হেলথকেয়ার, ইউটিলিটি, স্মলক্যাপ, স্মলক্যাপ ২৫০।
সংস্থাগুলির তালিকায় লক্ষ্মীবারে সর্বাধিক লাভের মুখ দেখেছে ইনফোসিস, এনটিপিসি, সান ফার্মা। তালিকায় শীর্ষে থাকা ইনফোসিসের লাভের পরিমাণ ০.৬৩ শতাংশ। নিফটি ৫০-তে লাভের তালিকায় শীর্ষে আদানিদের দুই সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজ এবং আদানি পোর্ট। আদানি এন্টারপ্রাইজের বাজারদর বৃদ্ধি পেয়েছে ২.৩৯ শতাংশ, পোর্টের ১.৫৬ শতাংশ। অন্য দিকে, সেনসেক্সে ক্ষতির তালিকায় শীর্ষে টাইটান, ২.৫৬ শতাংশ বাজারদর কমেছে এই সংস্থার। এর পরে রয়েছে বজাজ ফিনসার্ভ এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। নিফটি ৫০-এ ক্ষতির তালিকায় সর্বার উপরে ইউপিএল, যাদের ক্ষতির পরিমাণ ৩.০২ শতাংশ।