প্রতীকী ছবি
শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা। পরে দফায় দফায় তার মোড়ক খুলল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের হাত দিয়ে। প্রথম দু’দিনের ঘোষণায় শেয়ার বাজারের মুখ ভার হয়েছিল। আজ, সোমবার কী হবে, সেটা জানা যাবে আর কিছুক্ষণ পরে। তবে লগ্নিকারীরা যে ধরে ধরে কেন্দ্রের সামগ্রিক পরিকল্পনার কাটাছেঁড়া করবেন, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। চুলচেরা বিশ্লেষণ চলবে, এই পাঁচ দিনের টানা ত্রাণ ঘোষণায় আদতে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষ ও সংস্থাগুলির হাতে কী এল, কতটা।
১.৭০ লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ প্রকল্পের পরে দ্বিতীয় দফার প্যাকেজের দিকে বহু দিন ধরেই তাকিয়ে ছিলেন দেশবাসী। যে কারণে মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরে বুধবার ৬৩৭ পয়েন্ট ওঠে সেনসেক্স। আশা ছিল, পরের প্রতিটি ঘোষণাই বাজারকে কিছুটা করে অক্সিজেন জোগাবে। কিন্তু বুধ এবং বৃহস্পতিবারের প্রস্তাবগুলি শুনে মুষড়ে পড়ে বাজার। বৃহস্পতি ও শুক্রবার মিলিয়ে ৯০০-রও বেশি পয়েন্ট খোয়ায় সেনসেক্স। আসলে প্রথম দফায় মূলত ছোট সংস্থার হাতে ঋণ তুলে দিয়ে সরবরাহ ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করায় গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু অর্থনীতি এখন সরবরাহের চেয়েও বেশি ভুগছে চাহিদার সমস্যায়। তাকে চাঙ্গা করার পরিকল্পনা ছিল না তাতে।
এর পরে এসেছে কৃষি, কিছু কৃষি সহায়ক প্রকল্পের কথা। এসেছে কয়লা ক্ষেত্রে বেসরকারি অংশগ্রহণ, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে বিদেশি লগ্নি বাড়িয়ে ৭৪% করা-সহ বেশ কিছু সংস্কারমূলক প্রস্তাব। এগুলি বাজারের মনে ধরে কিনা, এখন সেটাই দেখার।
(মতামত ব্যক্তিগত)