পুণেতে তথ্যপ্রযুক্তি এসইজ়েড।
লোকসভা নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি বিশেষ আর্থিক অঞ্চল (এসইজ়েড) আইনের সংশোধন করে অধ্যাদেশ এনেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। উদ্দেশ্য ছিল, কোনও ব্যক্তি বা বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি ট্রাস্ট-ও যাতে এসইজ়েডে লগ্নি করতে পারে। আজ লোকসভায় সেই বিল পাশ করাতে গিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল কেন্দ্রকে। বিরোধীদের প্রশ্ন, কোন বেসরকারি সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিতে অধ্যাদেশ আনা হয়েছিল?
বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও অবশ্য আজ লোকসভায় দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম বিল হিসেবে এসইজ়েড আইনের সংশোধনী বিল পাশ হয়েছে। শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের দাবি, লোকসভা ভোটের আগে বারবার উত্তাল হচ্ছিল সংসদ। রাজ্যসভাতেও কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। তাই অধ্যাদেশ আনতে হয়েছিল। যাতে দেশের অর্থনীতিতে আরও লগ্নি আসতে পারে।
বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, কারা এসইজ়েডের সুবিধা পাবে আর কারা পাবে না, আইন সংশোধন করে তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা সরকার নিজের হাতে ক্ষমতা তুলে নিচ্ছে। কিন্তু গয়ালের যুক্তি, ট্রাস্ট গঠন করে বিকল্প লগ্নি তহবিলের মাধ্যমে এসইজ়েডে লগ্নি করতে পারার বিষয়টি সেবি-ই নিয়ম করে ঠিক করেছে। সেই অনুযায়ীই আইনে সংশোধন হচ্ছে।
অধ্যাদেশ জারির পরে সরকারের কাছে ছ’টি নতুন লগ্নির ছাড়পত্র চেয়ে অনুমোদন এসেছে বলে গয়াল জানিয়েছেন। এর মধ্যে একটি ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী অভিযোগ তোলেন, দেশে এসইজ়েড ব্যর্থ। গয়াল পাল্টা যুক্তি, এ জন্য ইউপিএ সরকারই দায়ী। কারণ ২০১১ সালে করছাড়ের সুবিধা তুলে দেওয়া হয়েছিল।