Onion Export

পেঁয়াজ নিয়ে প্রশ্নের মুখে সাফাই কেন্দ্রের

লোকসভা ভোট চলাকালীনই কেন্দ্র আচমকা নিষেধাজ্ঞা তোলায় প্রশ্ন উঠেছে তাদের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে। বিশেষত মহারাষ্ট্রের নাসিক, আহমেদনগর এবং শোলাপুরের মতো পেঁয়াজ চাষের মূল জায়গাগুলিতে যেহেতু সামনেই ভোট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৪ ০৭:১৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পেঁয়াজ রফতানিতে কেন্দ্রের বসানো নিষেধাজ্ঞা আয়ে ধাক্কা দিচ্ছে, এই অভিযোগ করে বহু দিনই তা তুলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন বিশেষত মহারাষ্ট্রের কৃষকেরা। দেশে সব থেকে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয় যে রাজ্যে। দেশে জোগান ঠিক রেখে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যথাযথ নীতি না নিয়ে, তড়িঘড়ি পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়ায় সরকারকে দুষেছিল বিরোধী কংগ্রেসও। কিন্তু লোকসভা ভোট চলাকালীনই কেন্দ্র আচমকা নিষেধাজ্ঞা তোলায় প্রশ্ন উঠেছে তাদের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে। বিশেষত মহারাষ্ট্রের নাসিক, আহমেদনগর এবং শোলাপুরের মতো পেঁয়াজ চাষের মূল জায়গাগুলিতে যেহেতু সামনেই ভোট। এই অবস্থায় সরকারি সূত্রের দাবি, কেন্দ্র নিষেধাজ্ঞা তোলার আগে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়েছে। কারণ লোকসভা ভোটের কারণে দেশে এখন নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু রয়েছে।

Advertisement

শুধু তা-ই নয়। ওই সূত্রের দাবি, অর্থ মন্ত্রকের অধীন রাজস্ব দফতর যে কারণে শর্তসাপেক্ষেই পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলতে সায় নিয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। যেখানে ৪০% রফতানি শুল্ক বসানোর পাশাপাশি ন্যূনতম রফতানি মূল্যও টন প্রতি ৫৫০ ডলারে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কোনও রফতানিকারীই কেজিতে প্রায় ৪৬ টাকার কমে পেঁয়াজ বিদেশে পাঠাতে পারবেন না। শুল্ক ধরে তা দাঁড়াবে কেজিতে প্রায় ৬৪ টাকা।

শনিবার সরকারের নিষেধাজ্ঞা তোলার সিদ্ধান্ত কৃষকদের বড় অংশের আয় বাড়াতে সাহায্য করবে। ফলে সংশ্লিষ্ট মহল বলেছে, বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। ভোটের আগে এই পদক্ষেপ তাঁদের তুষ্ট করে ফায়দা তুলতে নেওয়া হয়েছে, অভিযোগ ব্যবসায়ীদের একাংশেরও। কেন্দ্র অবশ্য দাবি করেছে, বাজারে পেঁয়াজের জোগান ও দাম স্বস্তিদায়ক দেখেই প্রস্তাবটি দিয়েছিল ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক। নির্দেশ জারির আগে দেখে নেওয়া হয়েছে, রবি মরসুমে ফলন ভাল হতে পারে।

Advertisement


আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement