রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। —ফাইল চিত্র।
বেশ কিছু বিকল্প লগ্নি সংস্থার (এআইএফ) বিরুদ্ধে দেশে বেআইনি ভাবে বিনিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, তদন্ত শুরু করেছে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে। এই ধরনের সমস্ত সংস্থার লগ্নি খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা কঠোর হতে পারে। চালু হতে পারে সেগুলির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের নিয়ম।
এআইএফ বাজার থেকে সংগ্রহ করা অর্থ স্টার্ট আপ, ছোট-মাঝারি কিংবা দ্রুত বৃদ্ধির সম্ভাবনাযুক্ত সংস্থায় লগ্নি করে। যে উচ্চবিত্তদের মোটা তহবিল লগ্নির ক্ষমতা আছে এবং বেশি ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত, তাঁরাই সাধারণত টাকা ঢালে এআইএফে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর ন্যূনতম অঙ্ক ১ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, লগ্নির ক্ষেত্রে নিয়মের শিথিলতাই আকৃষ্ট করে দেশ-বিদেশের উচ্চবিত্ত লগ্নিকারীদের। সূত্রের খবর, সেবি অন্তত ডজনখানেক বেআইনি লেনদেনের হদিশ পেয়েছে, যেখানে জড়িয়ে প্রায় ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ কোটি টাকা। অন্যতম অভিযোগ, ব্যাঙ্ক নয় এমন ঋণদাতা কিছু সংস্থা অনাদায়ি হওয়ার আশঙ্কাযুক্ত ঋণকে এমন সব এআইএফের কাছে বিক্রি করছে, যার একাংশ ওই সব ঋণদাতা সংস্থারই তৈরি। নতুন তহবিলে ঋণদাতাটির প্রকৃত ঋণ শোধ করা হচ্ছে, যাতে তা অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত না হয়।