—প্রতীকী চিত্র।
দেউলিয়া বিধির আওতায় আবাসন (রিয়েল এস্টেট) সংস্থা পুনর্গঠনের নিয়ম সংশোধন করেছে দেউলিয়া বিধি পর্ষদ (আইবিবিআই)। জানিয়েছে, কোনও আবাসন প্রকল্প নিয়ে বিবাদ তৈরি হলে সেই প্রকল্পটিই শুধু মীমাংসা প্রক্রিয়ার আওতায় আসবে। গোটা সংস্থা নয়। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, সার্বিক ভাবে সংস্থাটি মামলায় না জড়ানোর ফলে তাদের অন্যান্য প্রকল্প বিঘ্নিত হবে না। সেগুলির ক্রেতারা দুর্ভোগের মুখে পড়বেন না। রুগ্ণ প্রকল্পের জটিলতাও কাটবে দ্রুত।
সংশোধিত বিধিতে বলা হয়েছে, একটি সংস্থার (প্রোমোটার) আওতায় একাধিক প্রকল্প চালু থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই প্রকল্প ভিত্তিক ঋণ নেয় সংস্থা। প্রতিটির জন্য পৃথক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে তাদের। যে প্রকল্পের ঋণ তারা মেটাতে পারবে না, কিংবা টাকা নিয়েও ক্রেতাকে ফ্ল্যাট দিতে পারবে না, শুধু সেটির জন্যই দেউলিয়া বিধি আদালতে মামলা করা যাবে। পুরো সংস্থাটি তার আওতায় আসবে না।
দেউলিয়া আইন বিশেষজ্ঞ মমতা বিনানি বলেন, ‘‘এর ফলে প্রোমোটার, ঋণদাতা এবং ক্রেতা— সব পক্ষই উপকৃত হবে। একটি বা দু’টি প্রকল্পের বিবাদের জন্য গোটা সংস্থা মামলায় জড়াবে না। বাকি প্রকল্পগুলির কাজ স্বাভাবিক গতিতে চলবে।’’ নির্মাণ ক্ষেত্রের সংগঠন ক্রেডাইয়ের (ওয়েস্ট বেঙ্গল) প্রেসিডেন্ট সুশীল মোহতার মতে, একটি সংস্থার বিভিন্ন প্রকল্প চললেও হয়তো দু’একটি রুগ্ণ। প্রকল্প ভিত্তিক মীমাংসা হলে দ্রুত তার নিষ্পত্তি হবে। উপদেষ্টা সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্কের পূর্বাঞ্চলের সিনিয়র ডিরেক্টর অভিজিৎ দাসের দাবি, সংশোধিত ব্যবস্থায় মামলার প্রক্রিয়া আরও দক্ষতার সঙ্গে চালানো যাবে। উপকৃত হবে সমস্ত পক্ষ।