আবার পতনের কবলে শেয়ার বাজার। বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় সেনসেক্স নামল ৪৭০ পয়েন্ট। পাশাপাশি, নিফটি ১৫৯ পয়েন্ট পড়ে নেমে এল ৮ হাজার পয়েন্টের নীচে। বুধবারই টানা ছ’দিনের পতন কাটিয়ে কিছুটা বেড়েছিল সেনসেক্স। চিনি ও সার শিল্পে কেন্দ্রের উৎসাহ দেওয়ার খবরে সেনসেক্স বাড়ে ৩৫৯ পয়েন্ট। মরগান স্ট্যানলি ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল সূচকে চিনের শেয়ার অন্তর্ভুক্ত না-হওয়ায় তার ইতিবাচক প্রভাবও বাজারে পড়ে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনা সংস্থার শেয়ার ওই সূচকে ঢোকানো হলে তার বিরূপ প্রভাব পড়ত অন্য শেয়ারের উপর।
বাজার সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মূলত ঘাটতি বর্ষা নিয়ে উদ্বেগের জেরে হাতের শেয়ার বেচে দিতে শুরু করেন লগ্নিকারীরা। আবহাওয়া দফতর কম বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া ও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এখনও তেমন সক্রিয় না-হওয়ায় তাঁদের উদ্বেগ বেড়ে গিয়েছে। ব্যাঙ্কের ঋণ শোধের হার না-বাড়া ও তাদের অনুৎপাদক সম্পদও বাজারে মন্দার কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ দিন বিক্রির চাপে সেনসেক্স বাজার বন্ধের সময়ে নেমে আসে ২৬,৩৭০.৯৮ পয়েন্টে, যা গত আট মাসে সবচেয়ে কম।
ডলারে টাকার দামও এ দিন ১৩ পয়সা পড়ে যায়। ফলে দিনের শেষে প্রতি ডলারের দর দাঁড়ায় ৬৩.৯৭ টাকা। ব্যাঙ্ক ও আমদানিকারীদের তরফে ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার ফলেই পড়ে যায় টাকার দাম।