ফাইল চিত্র।
দৌড়তে দৌড়তে এই প্রথম ৪৪ হাজারের ঘরে ঢুকে থামল সেনসেক্স। নিফ্টি ১৩ হাজারের দোরগোড়ায়। বাজার এখন যেখানে, তাতে সূচকের যে কোনও উত্থানেই তৈরি হবে নতুন রেকর্ড। বুধবারও তা-ই হল। সেনসেক্স ২২৭.৩৪ পয়েন্ট ওঠায় পা পড়ল ৪৪,১৮০.০৫ অঙ্কের নতুন শৃঙ্গে। নিফ্টি থিতু হয়েছে ১২,৯৩৮.২৫-তে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর পিছনে সারা বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশের বাজার ওঠার প্রভাব তো আছেই। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিপুল লগ্নিও অন্যতম কারণ।
এই নিয়ে টানা তিন দিনের লেনদেনে নতুন রেকর্ড গড়ল সেনসেক্স, নিফ্টি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাজারে করোনার প্রতিষেধক আসার সম্ভাবনাই এতটা উত্থানের জ্বালানি। চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত সেনসেক্স বেড়েছে প্রায় ৪৪২২ পয়েন্ট। ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামও বাড়ছে। এ দিন এক ডলার ২৭ পয়সা কমে হয়েছে ৭৪.১৯ টাকা।
দেকো সিকিউরিটিজ়ের কর্ণধার অজিত দে-র দাবি, ‘‘প্রতিষেধক এলেই বিশ্ব অর্থনীতির আকাশ থেকে সরবে সঙ্কটের মেঘ। তখন ভারত যে অন্য অনেক দেশের থেকে দ্রুত এগোতে পারে, এই ভরসায় বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি নাগাড়ে লগ্নি করছে এ দেশে।’’ মঙ্গলবার তারা পুঁজি ঢেলেছিল ৪৯০৫.৩৫ কোটি টাকার। বুধবারের লগ্নি ৩০৭১.৯৩ কোটি। অজিতবাবুর আশ্বাস, এত উঁচু বাজারে মাঝেমধ্যে পতনও আসবে। তবে তাতে ভয়ের কিছু নেই।
বিশেষজ্ঞ অজিত খন্ডেলওয়ালও বলছেন, ‘‘ভারতের শেয়ার বাজারে এখন অঢেল নগদ। প্রচুর পুঁজি জোগাচ্ছে বিদেশি লগ্নিকারীরা। ভারতীয় বিনিয়োগকারীরাও আছেন। আগামী দিনে সংশোধন হয়তো আসবে। কিন্তু সূচকের নিট উত্থান অব্যাহত থাকবে। তার উপরে তৃতীয় ত্রৈমাসিকে দেশের সংস্থাগুলির আর্থিক ফল যদি ভাল হয়, তা হলে সূচককে আর পায় কে।’’
তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ ক্ষুদ্র লগ্নিকারীদের বাজারের আচমকা পতন সম্পর্কে সাবধান করছেন। যদিও অজিতবাবুর যুক্তি, ওই সব পতনই শেয়ার বাজারে লগ্নির নতুন পথ গড়ে দেবে।