—প্রতীকী চিত্র।
নতুন শৃঙ্গের দিকে এগিয়েও বৃহস্পতিবার শেষ রক্ষা হয়নি। শুক্রবার পিছু ফিরে তাকাল না সেনসেক্স। ৪৬৬.৯৫ পয়েন্ট উঠে এই প্রথম পৌঁছে গেল ৬৩,৩৮৪.৫৮ অঙ্কে। এর আগে ১ ডিসেম্বর ৬৩,২৮৪.১৯ হয়েছিল সূচক। এতদিন ওটাই ছিল তার সর্বকালীন উচ্চতা। ১৮,৮২৬-এ পা রেখে এ দিন নজির গড়েছে নিফ্টিও। উত্থান ১৩৭.৯০।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, চাঙ্গা বিশ্ব বাজার এবং বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিনিয়োগ ভারতের বাজারকে নজিরবিহীন উচ্চতায় ঠেলে তুলেছে। তবে গত সপ্তাহ থেকেই এর জমি তৈরি হচ্ছিল। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ঋণনীতিতে সুদ বাড়ায়নি, খুচরো মূল্যবৃদ্ধি কমে হয়েছে ৪.২৫%, পাইকারি বাজারে কমেছে প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ পণ্যের দাম, কিছুটা মাথা তুলেছে শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির হার। তাই চাঙ্গা বাজার। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার মিলে সেখানে বিদেশি লগ্নি ঢুকেছে ৩৮৮০.২৯ কোটি টাকার।
বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর দাবি, সম্প্রতি দেশে ও বিদেশে শেয়ার বাজারের অনুকূলে বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। তাঁর কথায়, ‘‘মূল্যবৃদ্ধির মাথা নামানো এবং শিল্প বৃদ্ধি দেশের আর্থিক উন্নতির বার্তা বহন করছে। এ ছাড়া আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজ়ার্ভ সুদ বৃদ্ধিতে বিরতি টানায় লগ্নিকারীরা উৎসাহিত। যদিও মূল্যবৃদ্ধিকে ২ শতাংশের নামানোর লক্ষ্য পূরণে তারা সুদ বাড়াবে বলেছে। তবে তার হার বেশি হবে না বলেই ধারণা বাজার মহলের। ফলে ভারতে টাকা ঢেলেছে বিদেশি লগ্নিকারীরা। যা সূচকের উত্থানে রসদ জুগিয়েছে।’’
তবে ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর বিনয় আগরওয়ালের মতে, বাজার সার্বিক ভাবে বাড়েনি। মূলত বড় সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির হাত ধরেই সূচক রেকর্ড করেছে।