—প্রতীকী ছবি।
লক্ষ্মীবারে ফের নামল শেয়ার বাজার। প্রায় ২৫০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স। অন্য দিকে নিফটির সূচক নেমেছে প্রায় ১০০ পয়েন্ট। ডিসেম্বরের গোড়া থেকে বাজারে অব্যাহত রয়েছে অস্থিরতা। এই পরিস্থিতিতে মোটা টাকায় পকেট না ভরায় রীতিমতো হতাশ লগ্নিকারীরা।
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) বন্ধ হওয়ার পর দেখা যায় ৮১,২৮৯.৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেনসেক্স। এ দিন এই সূচক পড়েছে ২৩৬.১৮ পয়েন্ট। অর্থাৎ সেনসেক্সে ০.২৯ শতাংশের পতন দেখা গিয়েছে। ৮১,৪৭৬.৭৬ পয়েন্টে খুলেছিল বিএসই। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮১,৬৮০.৯৭ পয়েন্টে ওঠে সূচক।
অন্য দিকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) সূচক বন্ধ হয়েছে ২৪,৫৪৮.৭০ পয়েন্টে। অর্থাৎ ৯৩.১০ পয়েন্ট নিম্নমুখী হয়েছে নিফটি ৫০। শতাংশের বিচারে সেটি ০.৩৮। বাজার খোলার সময়ে ২৪,৬০৪.৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছিল নিফটি। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪,৬৭৫.২৫ পয়েন্টে উঠেছে এই সূচক।
ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ দিন ১,৪৪০টি শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দর কমেছে ২,৩৯৫টি স্টকের। অপরিবর্তিত রয়েছে ১০২টি শেয়ার। বিএসইতে ছোট ও মাঝারি পুঁজির সংস্থাগুলির সূচক নিম্নমুখী হয়েছে যথাক্রমে এক ও ০.৫ শতাংশ। অধিকাংশ ক্ষেত্রের স্টক লাল জোনে শেষ করেছে। মিডিয়া ও ফাস্ট মুভিং কনজ়িউমার গুডস্ (এফএমসিজি) সংস্থাগুলির শেয়ার দর পড়েছে যথাক্রমে দুই ও এক শতাংশ।
তবে এ দিন ভাল ফল করেছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার স্টক। নিফটিতে সর্বাধিক লাভের মুখ দেখেছেন আদানি এন্টারপ্রাইজ়, টেক মাহিন্দ্রা, ইন্ডাসইণ্ড ব্যাঙ্ক, ভারতী এয়ারটেল এবং আদানি পোর্টসের শেয়ারে লগ্নিকারীরা। আর এনটিপিসি, হিরো মোটোকর্প, এইচইউএল, কোল ইন্ডিয়া এবং বিপিসিএলের স্টকে সবচেয়ে লোকসান হয়েছে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)