সপ্তাহ শেষে সেনসেক্স এগিয়ে গেল প্রায় ৮৫৯ পয়েন্ট। গত ১৯ জুন শেষ হওয়া সপ্তাহের পরে সাত দিনে এত বেশি বাড়েনি মুম্বই বাজারের এই সূচক।
শুক্রবার সেনসেক্স প্রায় ২৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দিনের শেষে থামে ২৭,০৭৯.৫১ পয়েন্টে। শেয়ার বাজারের উত্থানই কার্যত টেনে তোলে টাকাকে। মূলত বিদেশি লগ্নিকারীদের শেয়ার কেনার উৎসাহে ডলারের তুলনায় বেড়ে যায় টাকার চাহিদা। ফলে বাজার বন্ধের সময়ে টাকার দাম বাড়ে ৩২ পয়সা। প্রতি ডলারের দাম ছিল ৬৪.৭৪ টাকা।
বাজার বাড়ায় যে-সব কারণ কাজ করেছে, সেগুলি হল:
• সুদ বাড়ানো নিয়ে আমেরিকার তাড়াহুড়ো না-থাকা
• বিশ্ব বাজারে চাঙ্গা ভাব
• ভাল আর্থিক ফলাফলের আশা
• ব্যাঙ্কঋণে সুদ কমে আসা
• বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বাড়া
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজন গত ২৯ সেপ্টেম্বর তার ঋণনীতি ফিরে দেখতে গিয়ে সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই বাড়ছে সূচক। চলতি সপ্তাহে পাঁচ দিনের লেনদেনে শুধু বৃহস্পতিবারই সেনসেক্স ১৯০ পয়েন্ট পড়েছিল। রাজনের দাওয়াই ছাড়াও শুক্রবার বাজারকে আরও কিছুটা চাঙ্গা করেছে সুদ কমানো নিয়ে মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভের আপাতত থমকে থাকার খবর। ফেড রিজার্ভের সর্বশেষ বৈঠকের আলোচ্য বিষয়বস্তু গত কালই প্রকাশিত হয়েছে। আর, সেখান থেকেই আরও স্পষ্ট যে, সুদ কমানো নিয়ে মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্কের কর্তারা এখনও দ্বিধায়। তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে। এর জেরেই শুক্রবার চাঙ্গা হয়ে ওঠে এশীয় তথা ভারতীয় বাজার। বেড়েছে ইউরোপের বাজারও।
ভাল ফলের আশায় বাড়তে থাকে বিভিন্ন ধাতু ও ইস্পাত সংস্থার শেয়ার দরও। বেদান্তর শেয়ার এক ধাক্কায় বেড়েছে ১১.৫৮%, টাটা স্টিল ৪.২৬%। ঋণে সুদ কমাচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক, যা শিল্পে প্রাণ ফেরার আশা জাগিয়ে টেনে তুলছে তাদের শেয়ার দর। ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দামের বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অনুমতি দেওয়ার জেরে গৃহঋণ সংস্থার শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৬৯%। এ দিনও বাজারের উত্থানে সাহায্য করেছে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বাড়া।