প্রতীকী ছবি।
দুর্বল বিশ্ব বাজার এবং অশোধিত তেলের দাম ঘিরে অস্থিরতার জেরে ফের পড়ল শেয়ার বাজার। সোমবারের পরে মঙ্গলবার সেনসেক্স নামল আরও ২০৮.২৪ পয়েন্ট। থামল ৬২,৬২৬.৩৬ অঙ্কে। নিফ্টি ৫৮.৩০ পয়েন্ট মাথা নামিয়ে দাঁড়াল ১৮,৬৪২.৭৫ অঙ্কে। এ নিয়ে টানা তিন দিন পড়ল শেয়ার সূচক।
সেই সঙ্গে আজ ডলারের সাপেক্ষে অনেকটা নামল টাকার দরও। আমেরিকার মুদ্রাটি দাঁড়াল ৮২.৫ টাকা। যা সোমবারের চেয়ে ৬৫ পয়সা বেশি। দু’দিনে ডলার বাড়ল ১.২৮ টাকা। বাজার মহলের মতে, বরং বিভিন্ন পরিসংখ্যানে মনে করা হচ্ছে আমেরিকায় স্বল্প মেয়াদে সুদ বৃদ্ধির গতি কমবে না। ফলে বাড়ছে ডলারের চাহিদা। তা ছাড়া বিদেশি লগ্নিকারীদের শেয়ার বিক্রি করে ডলার তুলে নেওয়ার প্রভাবও পড়েছে টাকার দরে।
তবে তার মধ্যেই ভারতে যথেষ্ট বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। মঙ্গলবার তাদের প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, এখন দেশে সেই ভান্ডার রয়েছে ৫০,০০০ কোটি ডলারের উপরে। যা বিশ্বে অন্যতম বৃহৎ। এই মজুত বাইরের ঝড়ঝাপ্টা থেকে বেশ কয়েক মাস দেশের অর্থনীতিকে রক্ষা করতে পারবে।
পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের মতে, বুধবার ঋণনীতি বৈঠকের ফল জানাবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। যার দিকে তাকিয়ে কিছুটা সতর্ক রয়েছেন লগ্নিকারীরা। এ বার দেশে আগের মতো ৫০ বেসিস পয়ন্ট সুদ বাড়বে না বলেই মনে করছে বাজার মহল। তবে শেষ পর্যন্ত কত বৃদ্ধি হয়, তা না দেখে টাকা ঢালার সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না বিনিয়োগকারীরা।