প্রতীকী ছবি।
শুল্ক-যুদ্ধ মেটাতে চিন-মার্কিন চুক্তির আশায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমশ চাঙ্গা হয়ে উঠছিল শেয়ার বাজার। ঠিক তখনই মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের উচ্চপদস্থ সেনাকর্তার মৃত্যু ও দু’দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কে অবনতির জেরে শুক্রবারের পরে সোমবারও পতনের মুখ দেখল সূচক।
এ দিন সেনসেক্স পড়েছে ৭৮৭.৯৮ পয়েন্ট। ছ’মাসে যা সর্বোচ্চ পতন। নিফ্টিও হারিয়েছে ২৩৪ পয়েন্ট। দুই সূচক শেষ হয় যথাক্রমে ৪০,৬৭৬.৬৩ এবং ১১,৯৯৩.০৫ অঙ্কে। সব মিলিয়ে গত দু’দিনের লেনদেনে লগ্নিকারীরা হারিয়েছেন ৩.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা।
এলবি সিকিউরিটিজ়ের ডিরেক্টর মনীশ আগরওয়াল বলেন, ‘‘আমার আশঙ্কা, ইরান যদি প্রত্যাঘাত করে, সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। এই অবস্থায় শেয়ার থেকে লগ্নি তুলে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা সূচকের আরও পতন ডেকে আনতে পারে।’’
বাজার এই মুহূর্তে বিশেষ ভাবে চিন্তিত অশোধিত তেলের দাম নিয়ে। আমেরিকা ও ইরানের টানাপড়েন চলতে থাকলে বিশ্ব বাজারে দ্রুত বাড়তে পারে তেলের দাম। সোমবারই যা ব্যারেলে ৭০ ডলার ছুঁয়েছিল। আর ভারতে যেহেতু তেলের প্রয়োজনের সিংহভাগই মেটাতে হয় আমদানি করে, তাই বিশ্ব বাজারে দর বাড়লে একাধিক সমস্যায় পড়বে অর্থনীতি। তেল আমদানি করতে ডলার খরচ করতে হবে বেশি। ফলে বাড়বে তার চাহিদা। ডলারের সাপেক্ষে দাম কমবে টাকার। সোমবারই ১৩ পয়সা বেড়ে ১ ডলারের দাম হয়েছে ৭১.৯২ টাকা।
স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজ়ে চেয়ারম্যান কমল পারেখ বলেন, ‘‘ডলার, তেলের দাম বাড়তে থাকলে বিরূপ প্রভাব পড়বে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতিতে। এমনিতেই অর্থনীতি সমস্যায়। তার উপর টাকার দাম কমলে অবস্থা আরও ঘোরালো হবে।’’ বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান অনিশ্চয়তায় সোনা, তেল ও ডলারে টাকা ঢালতে শুরু করেছেন অনেকে। যার জেরে সোনার দামও রেকর্ড করে চলেছে। এ সবই বাজারে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।