ছবি পিটিআই।
আমেরিকায় জো বাইডেনের জয় এবং করোনার ভ্যাকসিন তৈরির পথে অগ্রগতির খবরে আন্তর্জাতিক বাজার মাথা তুলেই ছিল। মঙ্গলবার সেই সঙ্গে যোগ হল বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-র এগিয়ে থাকা। এই তিন কারণেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন মাইলফলক পার করল ভারতের শেয়ার সূচক। এই প্রথম ছাড়াল ৪৩ হাজারের গণ্ডি। সংশ্লিষ্ট মহলের অবশ্য সতর্কবাণী, অর্থনীতির উন্নতি নয়, বাজার ছুটছে শুধু ‘খবরে’ ভর করে। ফলে শীঘ্রই সংশোধনের মুখ দেখতে হতে পারে সূচককে।
সোমবার সেনসেক্স ৪২ হাজারের গণ্ডি পার করে নতুন রেকর্ড গড়েছিল। আর এ দিন ৬৮০.২২ পয়েন্ট বেড়ে তা পৌঁছল ৪৩,২৭৭.৬৫ অঙ্কে। নিফ্টি ১৭০.০৫ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১২,৬৩১.১০। দু’দিনে সেনসেক্স বেড়েছে ১৩৮৪ পয়েন্ট, নিফ্টি ৩৬৭।
২০১৪ সালের ৫ জুন প্রথমবার সেনসেক্স ২৫ হাজার পার করেছিল। সেখান থেকে ৪২ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছতে সময় নেয় সাড়ে পাঁচ বছর। আর অতিমারির ধাক্কায় মার্চে ৪২ হাজারের দোরগোড়া থেকে সেনসেক্স নেমেছিল ২৫ হাজারের ঘরে। তার পরে প্রায় ১৭,৩০০ পয়েন্ট দৌড়ে এ দিনের রেকর্ড ছুঁতে সময় নিয়েছে মাত্র সাড়ে সাত মাস! বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই সময়ে অর্থনীতি করোনার আগের অবস্থায় পৌঁছেছে এমন কিন্তু নয়।
ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য বিধান দুগার বলেন, ‘‘বাজার বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিনিয়োগের উপরে দাঁড়িয়ে। গত সাত দিনে ওই সব সংস্থা ১৮,৬০০ কোটি টাকা ঢেলেছে। মুনাফা তুলতে যে কোনও সময়ে তাদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির হিড়িক লাগতে পারে।’’ স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজ়ের চেয়ারম্যান কমল পারেখের বক্তব্য, ‘‘অর্থনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর এমন লক্ষণ নেই, যা সূচকের উত্থানে ইন্ধন জোগাতে পারে। ফলে সংশোধন হতে পারে শীঘ্রই।’’
দেকো সিকিউরিটিজ়ের কর্ণধার অজিত দে-র অবশ্য বক্তব্য, অর্থনীতি যে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, তা সংস্থাগুলির দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফলে স্পষ্ট। দীর্ঘমেয়াদে বাজার চাঙ্গাই থাকবে বলে আশা করা যায়।