প্রতীকী চিত্র।
পরিসংখ্যান বলছে, অর্থনীতির ঝিমুনি এবং তার পরে করোনার কামড়ে বেশ ক’বছর পিছিয়ে গিয়েছে গাড়ি শিল্প। ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর সেই জমিটুকুও কেড়ে নিতে বসেছে সেমিকনডাক্টর চিপের অভাব। চিপের হাহাকারে উৎপাদনে কোপ পড়ছে। যেটুকু চাহিদা তৈরি হচ্ছিল, তা-ও পুরো জোগানো যাচ্ছে না। মঙ্গলবার সূত্রের খবর, এমন পরিস্থিতিতে দেশে চিপ তৈরি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। বিবেচনা করে দেখছে আর্থিক উৎসাহ প্রকল্প আনার কথা। লক্ষ্য, এক দিকে চিপের দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো, অন্য দিকে বিদেশি সংস্থাগুলিকে এখানে লগ্নির জন্য টেনে আনা। তবে এই পথে গাড়ি শিল্পের সমস্যার আশু সমাধান কতটা সম্ভব, সেই প্রশ্ন থাকছেই।
এ দিনই উপদেষ্টা সংস্থা ক্রিসিলের রিপোর্টে প্রকাশ, চলতি অর্থবর্ষে ভারতে গাড়ি বিক্রি প্রত্যাশার চেয়ে কম হতে পারে। ১৬-১৭ শতাংশের বদলে বিক্রি বৃদ্ধির হার নামতে পারে
১১-১৩ শতাংশে। যাত্রী গাড়ির ৭১% যে তিন সংস্থার দখলে তদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে ক্রিসিলের দাবি, এর কারণ চিপের অভাবে সংস্থাগুলির উৎপাদন ছাঁটাই ও ব্যবসার ধরন পাল্টানো। যেখানে বেশি দামি গাড়ি বা জনপ্রিয় ইউটিলিটি ভেহিক্ল তৈরিতে জোর দেওয়া হচ্ছে চিপ বাঁচাতে, বহু মডেলের বৈশিষ্ট্যও কমানো হচ্ছে। তার উপরে ইস্পাত-সহ বিভিন্ন কাঁচামালের দর চড়া। ক্রিসিলের মতে, ফলে এই অর্থবর্ষে তাদের কার্যকরী মুনাফা কমতে পারে।
যদিও সরকারি মহলের দাবি, সঙ্কটকে সুযোগ হিসেবে দেখতে চায় কেন্দ্র। তাই সেমিকনডাক্টর শিল্পের জন্য উৎসাহ নীতি আনার কথা ভাবা হচ্ছে। যেখানে ছোট শিল্প এবং নতুন সংস্থাগুলিকে (স্টার্ট-আপ) পরিকল্পনা তৈরি এবং উৎপাদন শুরুর জন্য আর্থিক এবং পরিকাঠামোগত সাহায্য করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে সংস্থা উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করলেও আয়ের খাতে থাকবে বাড়তি সাহায্য। সম্প্রতি বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানান, সেমিকনডাক্টর শিল্পের জন্য নীতি তৈরির লক্ষ্যে নভেম্বরে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে নিয়ে সভার আয়োজন করবে কেন্দ্র। বর্তমানে কোয়ালকম, ইন্টেল, মিডিয়াটেক, টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্ট ও ইনফিনিয়নের মতো সংস্থা ভারতে গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র চালায়। চিপ তৈরিতে যেগুলির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।