দেশের ৪৪ জন অ্যাসেট ম্যানেজারের বিরুদ্ধে তদন্তে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে সেবি। ফাইল ছবি।
ছোট শহরে মিউচুয়াল ফান্ড বিপণনের অতিরিক্ত খরচের জন্য গ্রাহকের থেকে বাড়তি ফি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে ঠিকই। কিন্তু তার ফাঁক দিয়ে লগ্নিকারীদের থেকে অতিরিক্ত চার্জ আদায়ের সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই দেশের ৪৪ জন অ্যাসেট ম্যানেজারের বিরুদ্ধে তদন্তে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে সেবি। যে কারণে এ বার এই অনৈতিক পন্থায় ফি আদায় রুখতে উদ্যোগী হচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রকটি। সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থার খবর, অতিরিক্ত ফি আদায়ের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালুর পরিকল্পনা করেছে তারা। পাশাপাশি, নির্দিষ্ট সূচকের প্রেক্ষিতে বাড়তি মুনাফা হলে ফান্ডগুলিকে অতিরিক্ত চার্জ আদায়ের সুযোগ দেওয়া নিয়েও আলোচনা চলছে। এ নিয়ে অবশ্য সেবির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এখন মিউচুয়াল ফান্ড প্রকল্প বিক্রির সময় সেটি পরিচালনার খরচ বাবদ লগ্নিকারীর থেকে চার্জ আদায় করে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শহরে প্রকল্প বিপণনের জন্য তাদের বাড়তি খরচ বইতে হয়। তাই সেখানে সেগুলি বিক্রির জন্য সাধারণ ফি ছাড়াও সেবির আইন মেনে ওই খরচ বাবদ অতিরিক্ত ফি আদায় করে ফান্ড সংস্থাগুলি।
কিন্তু অনেক সময়েই অভিযোগ ওঠে, লগ্নিকারী একটি প্রকল্পে টাকা ঢালার পরেও সংশ্লিষ্ট ব্রোকার তাঁকে ‘ভুল’ বুঝিয়ে বাড়তি লাভের আশ্বাসে সেটি বিক্রি করে পাওয়া টাকা অন্য প্রকল্পে বিনিয়োগ করান। অভিযোগ, এ ক্ষেত্রে ফের নতুন প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্রোকারেজ ফি আদায় করাই ব্রোকারের মূল লক্ষ্য থাকে। সূত্রের দাবি, সেই প্রবণতা রুখতে গ্রাহক পিছু এক জন ব্রোকার বা সংস্থাকে এক বারই ওই অতিরিক্ত ফি দেওয়ার নিয়ম চালুর কথা ভাবছে সেবি। অর্থাৎ, এক জন লগ্নিকারী যখন কোনও ব্রোকারের মাধ্যমে প্রথম ফান্ড প্রকল্পটি কিনবেন, কেবল তখনই তাঁর থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে। ওই ব্রোকারের মাধ্যমে পরে ফের লগ্নি করলে তিনি শুধু সাধারণ ফি-ই দেবেন।
এগুলি কার্যকর হলে সাধারণ ভাবে লগ্নিকারীর স্বার্থরক্ষা করা সম্ভব হবে বলে মত বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দী ও নীলাঞ্জন দের। তাঁদের বক্তব্য, এগুলি সংস্কারমুখী পদক্ষেপ। এতে এই ব্যবসায় স্বচ্ছতা বাড়বে।