মাধবী পুরী বুচ। —ফাইল চিত্র।
স্বার্থের সংঘাতের কারণে কোন কোন মামলা থেকে সেবি কর্ণধার মাধবী পুরী বুচ নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন, সেই তথ্য তাদের কাছে ‘তৈরি নেই’ বলে দাবি করল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রকটি। তথ্যের অধিকার আইনে এ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন সমাজকর্মী কমোডর লোকেশ বাত্রা (অবসরপ্রাপ্ত)। উত্তরে সেবি বলেছে, এই তথ্য একত্রিত করতে গেলে ‘তাদের বহু কর্মীকে কাজে লাগাতে হবে’। পাশাপাশি, কেন্দ্র ও সেবি-র পর্ষদের কাছে নিজের ও পরিবারের সম্পত্তি, শেয়ার নিয়ে পুরী কী তথ্য দিয়েছিলেন, তা-ও জানাতে অস্বীকার করেছে নিয়ন্ত্রকটি। দাবি, সেগুলির সঙ্গে ‘ব্যক্তিগত তথ্য’ জড়িয়ে, যা সামনে আনলে ওই ব্যক্তির জীবন বা শারীরিক ‘সুরক্ষা ধাক্কা খেতে পারে’। একই কারণে কোন সময়ে তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল, তা-ও জানাননি সেবি-র সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফর্মেশন অফিসার (সিপিআইও)।
গত ১০ অগস্ট আদানি কাণ্ডে মাধবীর নাম জড়ানোর পরের দিন (১১ অগস্ট) সেবি দাবি করেছিল, স্বার্থের সংঘাত হতে পারে এমন মামলা থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও একাধিক ক্ষেত্রে মাধবীর বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। যা অস্বীকার করেছেন সেবি কর্ণধার এবং তাঁর স্বামী ধবল বুচ। এর পরেই এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রকের কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন বাত্রা।
সিপিআইও-র দাবি, যে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে আবেদনকারী বা জনস্বার্থের সম্পর্ক নেই। এর সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা জড়িয়ে। যা সামনে এলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জীবনের আশঙ্কা থাকছে। তা সামনে আনা সম্ভব নয়।