প্রতীকী ছবি।
আইএল অ্যান্ড এফএস কাণ্ডে ফরেন্সিক অডিট চালিয়ে গোষ্ঠীর বর্তমান পরিচালন পর্ষদকে ১০৫ পাতার অন্তর্বর্তী রিপোর্ট জমা দিয়েছিল গ্র্যান্ট থর্নটন। সেখানে বিভিন্ন মূল্যায়ন সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এর পরেই এই বিষয়ে তদন্তের ক্ষেত্র আরও প্রসারিত করল বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। মূল্যায়ন সংস্থাগুলির ভূমিকাও আরও কড়া ভাবে খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে তারা।
সূত্রের খবর, বাজার নিয়ন্ত্রকের পরামর্শে ইতিমধ্যেই দু’টি মূল্যায়ন সংস্থার সিইও-কে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফেরানো হবে না। সংস্থাগুলির শীর্ষ আধিকারিকেরা অবশ্য এই অনিয়মে নিজেদের ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছেন। কয়েক জন আবার দাবি করেছেন, অন্তর্বর্তী রিপোর্টে সম্পূর্ণ বিষয়টি সামনে আসেনি।
গত কয়েক বছরে আইএল অ্যান্ড এফএস গোষ্ঠী ও তাদের বিভিন্ন শাখা সংস্থার মূল্যায়ন চালিয়েছে পাঁচটি সংস্থা। সেগুলি হল ক্রিসিল, কেয়ার রেটিংস, ইন্ডিয়া রেটিংস, ইক্রা এবং ব্রিকওয়ার্ক। অভিযোগ, যোগ্যতা না থাকলেও বহু ক্ষেত্রে বেড়েছে রেটিং।
সূত্রের খবর, ঋণ খেলাপি গোষ্ঠীর প্রাক্তন পদস্থ কর্তাদের ইমেল খতিয়ে দেখে গ্র্যান্ট থর্নটন বলেছে, আইএল অ্যান্ড এফএসের একাধিক সংস্থার নগদের অবস্থা যে খারাপ এবং আর্থিক পরিস্থিতি যে দুর্বল হচ্ছে, তা মূল্যায়ন সংস্থাগুলির নজরে এসেছিল। ২০১২ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে একাধিক বার রেটিং কমানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। কিন্তু নানান ‘কৌশলে’ গোষ্ঠীর তৎকালীন কর্তারা ভাল রেটিং রাখা বা রেটিং না কমানো নিশ্চিত করেছিলেন। মূল্যায়ন সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের স্মার্টওয়াচ, বিদেশে ফুটবল খেলা দেখার টিকিট ইত্যাদি উপহার দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছে অন্তর্বর্তী রিপোর্টে। শেষ পর্যন্ত গত জুলাইয়ে ঋণের একটি কিস্তি বকেয়া পড়ার পরে আইএল অ্যান্ড এফএস ট্রান্সপোর্টেশন নেটওয়ার্কসের (আইটিএনএল) রেটিং কমে।