বৈঠকের পর জেটলি ও সিনহা। ছবি: পিটিআই।
ব্যাঙ্কগুলির বহুদিনের দাবি মেনে ধার শুধতে না-পারা সংস্থার ঋণকে শেয়ারে পরিণত করার পদ্ধতি সরল করল সেবি। রবিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানালেন সেবি চেয়ারম্যান ইউ কে সিন্হা। তিনি বলেন, এর ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির অনুৎপাদক সম্পদ কমানোর বিষয়টিতে আরও গতি আসবে। উল্লেখ্য গত ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের ওই সম্পদের বোঝা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকায়।
নয়া নিয়মে শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত সংস্থার ওই ঋণকে শর্ত সাপেক্ষে শেয়ারে বদলানো যাবে। এ ক্ষেত্রে সংস্থার শেয়ার দর ঠিক হবে সেবির স্থির করা পদ্ধতি মেনে। আগের মতো বাজার দরের ভিত্তিতে নয়। এর মাধ্যমে সংস্থাটির সিংহভাগ মালিকানা এবং তা পরিচালনার রাশ নিজেদের হাতে নেওয়ার সুযোগও থাকবে ঋণদাতাদের।
দেশি-বিদেশি সব ঋণদাতারাই এই রাস্তায় হাঁটতে পারবে। কোনও এক সংস্থায় একাধিক ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ দিয়ে থাকলে, তাদের একসঙ্গে মালিকানা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে এই নিয়মে সকলের দেওয়া সম্মিলিত ঋণকে শেয়ারে বদলে যদি অংশীদারি ৫১ শতাংশের বেশি হয়, তা হলেই সংস্থার রাশ হাতে নিতে পারবে তারা।
শুধু প্রোমোটার সংস্থা বদলই নয়, মালিকানা হাতে নেওয়ার পর ঋণদাতারা পাল্টাতে পারবে সংস্থার পর্ষদও। চাইলে তারা নিজেরাই সেই সংস্থা পরিচালনা করতে পারবে অথবা তা তুলে দিতে পারবে অন্য কারও হাতে। ফলে সুরক্ষিত থাকবে লগ্নিকারীর স্বার্থ। সিন্্হার ধারণা, এই বিধি কার্যকর হলে মালিকানা হারানোর ভয়ে টাকা জোগাড়ে আরও তৎপর হবে ঋণ শুধতে না-পারা প্রোমোটার সংস্থাগুলি।
প্রসঙ্গত, ঋণকে শেয়ারে বদলের নিয়ম আগেও ছিল। কিংফিশারের মতো কিছু সংস্থার ক্ষেত্রে যার প্রয়োগও হয়েছে। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই সেবির নিয়ম ও আইনি জটে তা আটকেছে বলে অভিযোগ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-সহ ব্যাঙ্কগুলির। তাই অনুৎপাদক সম্পদ কমানোর লক্ষ্যে ওই বিধি আরও সরল করল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক।