—প্রতীকী চিত্র।
এ বার বাজারে দামি বাইকের রেষারেষি!
অতিমারির প্রভাবে নিচু আয়ের সাধারণ মানুষ কোণঠাসা হলেও বিত্তশালীদের সম্পদ যে আরও বেড়েছে, তা পরিষ্কার হয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে। তবে তার প্রভাবে ব্যবসা বাড়াতে পেরেছে দামি বাড়ি, গাড়ি এবং বৈদ্যুতিন সামগ্রী। এ বার সেই বাজারই ধরতে চাইছে আমেরিকার হার্লে ডেভিডসন এবং ব্রিটেনের ট্রায়াম্ফের মতো মোটরবাইক সংস্থা। সম্প্রতি দু’জনেই দেশীয় সংস্থার সঙ্গে জুটি বেঁধে ২.৩৩ লক্ষ টাকার বাইক এনেছে ভারতের বাজারে। যা তাদের অন্যান্য মডেলের তুলনায় সস্তা হলেও এ দেশের বাজারে দামি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভারতে দামি বাইকের প্রায় ৯০% বাজার এখন রয়্যাল এনফিল্ডের হাতে। হার্লে এবং ট্রায়াম্ফের বাইক দু’টির দাম তাদের সবচেয়ে দামি বাইকের তুলনায় সামান্য বেশি। ফলে আগামী দিনে এই তিন সংস্থার লড়াই দেখবে এ দেশের বাইক শিল্প। কোটাক সিকিউরিটিজ়ের গাড়ি বিশেষজ্ঞ ঋষি ভোরার কথায়, ‘‘এই ব্র্যান্ডগুলি কেনার স্বপ্ন বহু উচ্চাকাঙ্ক্ষীই দেখেন। কিন্তু দামের জন্য অনেকের পক্ষে তা কেনা সম্ভব হয় না। এ বার হবে।’’
ভারত আগে কম দামি গাড়ি-বাড়ির বড় বাজার ছিল। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আমজনতার আয়কে ছাপিয়ে যাওয়া খরচ আর বিত্তবানের বাড়তে থাকা মুনাফা বাজারের সেই চরিত্র বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আগে এ দেশে আমদানি করা বাইক বিক্রি করত হার্লে। ২০২০ সালে শিল্পমহলকে চমকে দিয়ে সেই বাজার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও চলে বিস্তর। এর পরে বিশ্বের বৃহত্তম মোটরবাইক উৎপাদনকারী সংস্থা, দেশের হিরো মোটোকর্পের সঙ্গে জোট বেঁধে এ দেশেই যন্ত্রাংশ জুড়ে বাইক তৈরির পথে হাঁটে আমেরিকার সংস্থাটি। সম্প্রতি উদ্বোধন করে এক্স-৪৪০। পাশাপাশি, ট্রায়াম্ফ হাত মিলিয়েছে দেশীয় সংস্থা বজাজ অটোর সঙ্গে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই স্পিড-৪০০ মডেলের ১৪,০০০ বাইকের বরাত পেয়েছে তারা। দুই বিদেশি সংস্থাই তাদের ভারতীয় অংশীদারের বিপণন পরিকাঠামোর সাহায্য পাচ্ছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে হার্লে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। ট্রায়াম্ফ জানিয়েছে, আপাতত বিক্রেতা (ডিলার) পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজানোর কাজে ব্যস্ত তারা। মুখ খোলেনি তাদের ভারতীয় প্রতিযোগী রয়্যাল এনফিল্ডও।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, রয়্যালের তৈরি বাজারে হাত বসাতে এখনও অনেকটা সময় লাগবে দুই বিদেশি সংস্থার। তবে লড়াই জমে যাবে।