— প্রতীকী চিত্র।
কোভিডকাল পেরিয়ে দ্রুত চরিত্র বদলাচ্ছে ভারতের গাড়ি বাজার। এক সময়ে যেখানে ছোট গাড়ির প্রাধান্য ছিল, তা-ই এখন বড় গাড়ি বিক্রির অন্যতম জায়গা হয়ে উঠছে। বিক্রেতা বা ডিলার সংস্থাগুলির সংগঠন ফাডার দেওয়া হিসাবেও বুধবার ফের স্পষ্ট হল বদলের এই ছবি। এ দিন তারা বলেছে, সেপ্টেম্বরে বেশ খারাপ বিক্রির পরে মূলত বড় গাড়ি বিক্রির উপর ভর করেই অক্টোবরে কার্যত ঘুরে দাঁড়িয়েছে গাড়ি শিল্প। চার চাকার ব্যক্তিগত গাড়ি বিকিয়েছে তার আগের মাসের থেকে ৭৫ শতাংশেরও বেশি। গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় বৃদ্ধির হার প্রায় ৩২.৪০%।
অক্টোবরে বহু গাড়ি সংস্থার পাইকারি বিক্রি (যখন নির্মাতারা বিক্রেতাদের বিক্রি করে) কমেছিল। ফলে খুচরো বাজার নিয়ে আশঙ্কা দানা বাঁধে। তবে পাইকারি বাজারেও বড় গাড়ি বা ইউটিলিটি ভেহিক্লের (ইউভি) বিক্রি বাড়ে প্রায় সব সংস্থার। এ দিন ফাডার দাবি, সেপ্টেম্বরে খুচরো বাজারে ২.৭৬ লক্ষ চার চাকার ব্যক্তিগত গাড়ি বিক্রি হয়েছিল। অক্টোবরে তা বেড়ে হয়েছে ৪.৮৩ লক্ষের কিছু বেশি। সর্বাধিক বেড়েছে মূলত স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্লের (এসইউভি)। ছোট গাড়ি বিক্রির হাল স্পষ্ট করেনি ফাডা। তবে ব্যবসা বৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি যে বড় গাড়ি অর্থাৎ এসইউভি, সেই ইঙ্গিত পরিষ্কার। সংগঠনের সভাপতি সি এস বিজ্ঞেশ্বর জানান, সব সংস্থাই এই ধরনের গাড়ি তৈরিতে জোর দিচ্ছে। মোট বিক্রীত চার চাকার প্রায় ৪০% এসইউভি।
পরিসংখ্যানে প্রকাশ, মহিন্দ্রা, কিয়া, স্কোডা, টয়োটার মতো যারা মূলত ইউভি গাড়ি বেচে, তাদের বিক্রি বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। তুলনায় শ্লথ মারুতি, টাটা কিংবা হুন্ডাইয়ের। যা বলে দিচ্ছে, ভারতীয় ক্রেতাদের বেশির ভাগ বড় গাড়ি কেনার পক্ষপাতী। একই সুর স্কোডা অটো ইন্ডিয়ার সিইও পীযূষ অরোরার গলায়। তবে তিনি বলেন, “দেশের মানুষের চাহিদা ক্রমশ বদলাচ্ছে। এখন চার মিটারের কম লম্বা এসইউভি-র ঝোঁক বাড়ছে। তাই আমরা এমন গাড়ি এনেছি। আশা করছি, সেটিকে নিয়ে বাজারের বড় অংশ ধরতে পারব।” তিনি জানান, বর্তমানে চার চাকার গাড়ির অনেকটা জুড়ে ইউভি। আর তার ৫৫ শতাংশই ৪ মিটারের কম দৈর্ঘ্যের। অর্থাৎ তুলনায় ছোট গাড়ি বাজারও ওই ইউভি-রই।